সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এখন বয়স্কদের ভিড়। তবে পুরোটাই ভার্চুয়ালি। সকলেই যেন টাইম মেশিনে চেপে সিনিয়র সিটিজেন হয়ে উঠেছেন। সৌজন্যে ফেস অ্যাপ। জনপ্রিয় এই অ্যাপটি ব্যবহার করেই কেউ হয়ে যাচ্ছেন বুড়ো তো কেউ আবার বদলে ফেলছেন নিজের লিঙ্গ! দেখে নিচ্ছেন, বিপরীত লিঙ্গ হলে কেমন দেখতে হত তাঁকে। কেউ আবার বয়স কমিয়ে ফিরে গিয়েছেন ছোটবেলার দিনগুলিতে। তবে এমন মজার অ্যাপ যে একটা পরিবারে হাসি ফোটাতে পারবে কে ভেবেছিল! প্রযুক্তির কল্যাণে ১৮ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে পেল পরিবার।
[আরও পড়ুন: ৯ লাখের ক্যামেরা মিলল সাড়ে ছ’হাজারে! আমাজনে ছাড়ের বহর দেখে হতবাক ক্রেতারাও]
২০১৭ সালে তৈরি হয়েছিল এই ফেস অ্যাপ। তবে এদেশে সম্প্রতি এটি বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মজার এই অ্যাপে নিজেকে নানা লুকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন ইউজাররা। সেটাই এর ইউএসপি। এই অ্যাপে ছবি এডিট করে অনেকেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন। ঠিক একইরকম প্রযুক্তির সৌজন্যে ১৮ বছর পর নিজের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারলেন ২১ বছরের চিনা যুবক শাই ইউ ওয়েফেং। ২০০১ সালে শিশু অবস্থায় অপহরণ করা হয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকে হাজার চেষ্টা করেও তাঁর সন্ধান পাননি পরিবারের লোকজন। যদিও পুলিশ হাল ছাড়েনি। সম্প্রতি ওই যুবকের ছবিই মর্ফ করে পোস্ট করে পুলিশ। সেটি দেখেই হারানো ছেলেকে চিনতে পারেন আত্মীয়-পরিজনরা। পুলিশ জানায়, অভিভাবকদের সঙ্গে ডিএনএ মিলে গিয়েছে শাইয়ের। ১৮ বছর পর পরিবারের হাত ধরে তাঁর বাড়ি ফেরার কাহিনি এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল।
ফেস অ্যাপের মতোই এআই প্রযুক্তি তৈরি করেছে চিন। একটি শিশুকে ১৮ বছর পর কেমন দেখতে হতে পারে, পুলিশ তা দেখারই চেষ্টা করেছিল এই টেকনলজির মাধ্যমে। তখনই হদিশ মেলে শাইয়ের। যদিও গোটা প্রক্রিয়া নেহাত সহজ ছিল না। কারণ বহু মানুষের ভিড় থেকে স্ক্যান করে তাঁর চেহারা খুঁজে বের করা হয়। পুলিশ জানায়, শাই প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাননি যে ছোটবেলায় তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। সেই সময় প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না। কিন্তু পুলিশ হার মানেনি। অবশেষে মিলেছে সাফল্য। শাইকে ফিরে পাওয়া পরিবারের কাছে মিরাকলের মতো।