সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮ সালে ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় ৩ কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেয় হ্যাকাররা। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অনেকের বিশ্বাস উঠে যায় ফেসবুক থেকে। কেউ কেউ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও ডিলিট করে দেন। সারা বিশ্বজুড়ে তথ্য ফাঁসের এই ঘটনা নিয়ে সমালোচিত হয় ফেসবুক (Facebook) কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে মার্ক জুকেরবার্গকে প্রকাশ্যে এসে এই ঘটনার সাফাই দিয়ে হয়। যদিও তাতে অবস্থার খুব একটা বদল হয়নি। উলটে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে।
গত শুক্রবার সেই ধরনের একটি মামলার শুনানির সময় বাদীপক্ষকে সমঝোতার প্রস্তাব দেয় ফেসবুক। তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি আরও জোরদার করবে বলেও বিচারকদের সামনে প্রতিশ্রুতি দেয়। ২০১৮ সালে ফেসবুক ব্যবহারকারী ২ কোটি ৯০ লক্ষের বেশি মানুষের তথ্য ফাঁস হতেই সানফ্রান্সিসকোর একটি ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের হয়। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এটি প্রতারণার সামিল। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ত্রুটি রয়েছে জানতে পেরেও বিষয়টি আটকানোর কোনও চেষ্টা করেনি তারা। এর ফলে খুব সহজেই নিজের উদ্দেশ্য পূরণ করেছে হ্যাকাররা।
[আরও পড়ুন: আরও পাঁচটি ভাষায় করা যাবে স্ন্যাপচ্যাট, থাকছে বাংলাও ]
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিষয়টি মেনে নেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারপরই পরিষেবা গ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে তারা আরও সক্রিয় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনও ফেসবুক ব্যবহারকারীর আচরণে সন্দেহ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে নজরদারি চালানো হবে। যদি দেখা যায় কোনও ফেসবুক আচরণকারীর মধ্যে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেসবুকের এই প্রস্তাবের পর তাদের উপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এই সমঝোতার বিষয়টির জন্য় আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছে।