সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া ‘স্টার’ তিনি। শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন, বিরাট কোহলি, শচীন তেণ্ডুলকরদের মতো রথী-মহারথীদের থেকেও বেশি জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে মোদি দ্বিতীয়। একমাত্র প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বেশি লোক ফলো করেন। এ হেন ব্যক্তি হঠাৎ কেন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ছেন? এ প্রশ্নে দ্বিধা-বিভক্ত নেটিজেনরা।
This Sunday, thinking of giving up my social media accounts on Facebook, Twitter, Instagram & YouTube. Will keep you all posted.
— Narendra Modi (@narendramodi) March 2, 2020
কেন আচমকা মোদির এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ইঙ্গিত? এ প্রসঙ্গে নেটিজেনরা সবাই নিজেদের মতো মতবাদ দিচ্ছেন। প্রথমত, অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইছেন না যে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়বেন। তাঁদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার ইঙ্গিত দেওয়াটা শুধু রাজনৈতিক কৌশল। অনেকে আবার বলছেন, দিল্লির হিংসায় সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে গুজব ছড়ানো হয়েছে, তাতে মানসিকভাবে আহত প্রধানমন্ত্রী। এবং, সেজন্যই সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে চাইছেন।
[আরও পড়ুন: CAA’র অধীনে কতজন নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করেছেন? তথ্যই নেই কেন্দ্রের কাছে]
কেউ কেউ আবার বলছেন, মোদি হয়তো বিদেশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ছেড়ে এবার দেশি কোনও সোশ্যাল মিডিয়া তৈরির কথা ভাবছেন। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে ভারত ও আমেরিকার টানাপোড়েন চলেছে। তারপর থেকেই দেশিয় প্রযুক্তিতে সোশ্যাল মিডিয়া তৈরির চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই, মন্ত্রী ও আমলাদের নিজেদের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের ধাঁচে একটি মেসেজিং অ্যাপ তৈরি হয়েছে। সংঘ পরিবারও দীর্ঘদিন ধরেই দেশি সোশ্যাল মিডিয়া তৈরির পক্ষে সওয়াল করেছে। অনেকে মনে করছেন, মোদি হয়তো দেশি কোনও সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ লঞ্চ করে দেশবাসীকে চমক দিতে পারেন।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! নিজেই ইঙ্গিত দিলেন টুইটারে]
এসবের মধ্যে আবার আশঙ্কার কথাও শোনাচ্ছেন অনেকে। তাঁদের ধারণা, মোদি নিজে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার পর হয়তো দেশবাসীকেও অনুরোধ করবেন তাঁর পথ অনুসরণ করতে। বিশেষ করে বিজেপি নেতারা এই ভয় পাচ্ছেন। আবার চিন বা রাশিয়ার মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরোপুরি নজরদারি চালানো হতে পারে, এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকেই।সেক্ষেত্রে নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার কতটা থাকবে? তা নিয়ে সংশয়ে নেটিজেনদের একাংশ।