সৌরভ মাজি, বর্ধমান: এবার অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে পেটিএম প্রতারণার শিকার হলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির এক যুবক। অনলাইনে কেনার পরে অর্ডার ক্যান্সেল করেছিলেন। পেটিএম অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরতের নাম করে ফোন করে ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য, ওটিপি জেনে তিন দফায় এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মেমারির নাগাপাড়ার প্রতারিত যুবক পল্লব শর্মা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পল্লববাবু পেটিএম কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
পল্লববাবু জানান, কিছুদিন আগে তিনি Club Factory নামে এক অনলাইন শপিং সাইট থেকে কেনাকাটা করেছিলেন। পরে সেটি অপছন্দ হওয়ায় ডেলিভারির অনেক আগেই তা ক্যানসেল করেন। নিয়মানুযায়ী, কেনা সামগ্রীর মূল্য (৭৯৮ টাকা) ফেরত দেওয়ার কথা ওই অনলাইন সাইটের। এরপর গত বৃহস্পতিবার পল্লববাবুর মোবাইলে ওই অনলাইন সাইটের নাম করে ফোন আসে। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য পেটিএম নম্বর চাওয়া হয় পল্লববাবুর কাছে। তিনি তা দেন। তারপর তাঁর মোবাইলে আসা একটি ইউআরএল ও ওটিপি পাঠাতে বলা হয়। তিনি তাও দিয়ে ফেলেন। তাঁকে তখন জানানো হয় সন্ধ্যার মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে বলে জানানো হয়। কিন্তু টাকা রিফান্ড হয়নি।
[আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অকৃত্রিম ভালবাসায় কলকাতার মন জয় করল যন্ত্রমানবী সোফিয়া]
পরদিন অর্থাৎ গত শুক্রবার ফের তাঁকে ওই সংস্থার নাম করে ফোন করা হয়। পল্লববাবুকে বলা হয় তাঁর মোবাইলে একটি এসএমএস গিয়েছে। সেটি ফরওয়ার্ড করার জন্য বলা হয়। সরল বিশ্বাসে পল্লববাবু তা ফরওয়ার্ড করে দেন। পরদিন সকালের দিকে পর পর দিন দফায় তাঁর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে যথাক্রমে ৪৫ হাজার, ৪০ হাজার ও ১৪ হাজার ৯৯৯ টাকা প্রতারকরা হাতিয়ে নেয়। টাকা তোলার মেসেজ পেয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পল্লববাবুর। তিনি পেটিএম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই সংস্থায় লিখিত অভিযোগ জানান। পাশাপাশি, যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানো হয়েছে সেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। মেমারি থানাতেও ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন পল্লববাবু। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সাইবার থানা পুলিশের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।