সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মই মেটাবে গ্রাম আর শহরের ভেদাভেদ। কারণ এবার গ্রামকেও পুরোদস্তুর ডিজিটাল করে তুলতে বিশেষ পদক্ষেপ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পঞ্চায়েতের কাজের সুবিধা এবং গ্রামোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে মোবাইল অ্যাপ। বজায় থাকবে সরকারের কাজের স্বচ্ছতা। পঞ্চায়েত দিবসেই তাই জোড়া অ্যাপের কথা ঘোষণা করলেন মোদি।
শুক্রবারই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নতুন দুটি অ্যাপের কথা জানান। গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য তৈরি অ্যাপ দুটি হল ই-গ্রাম স্বরাজ ও পঞ্চায়েতী রাজ অ্যাপ (E-Gram Swaraj & Panchayati Raj) এবং স্বামীত্ব যোজনা (Swamitva Yojana)। সমাজের কোন কোন কাজে সাহায্য করবে এই অ্যাপ? চলুন জেনে নেওয়া যাক খুঁটিনাটি।
[আরও পড়ুন: জুম অ্যাপের কামাল! সাত পাকে বাঁধা পড়লেন কয়েকশো মাইল দূরে থাকা বর-কনে]
ই-গ্রাম স্বরাজ ও পঞ্চায়েতী রাজ অ্যাপ:
এই অ্যাপ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “এই অ্যাপে পঞ্চায়েতের কাজের সমস্ত বিস্তারিত তথ্য থাকবে। গ্রাম পঞ্চায়েতকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া একটা বড় পদক্ষেপ এটা। ভবিষ্যতে এই একটা প্ল্যাটফর্ম থেকেই গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজের তথ্য পাওয়া যাবে। আলাদা আলাদা পঞ্চায়েতের জন্য ভিন্ন অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হবে না।” অর্থাৎ এই অ্যাপের মাধ্যমেই গ্রামবাসী দেখে নিতে পারবেন কোন কাজ কতখানি এগোলো। কোনও কাজের জন্য পঞ্চায়েতের কত অর্থ বরাদ্দ। একটি কাজ শেষ হতে কতদিন সময় লাগল, ইত্যাদি সব খুঁটিনাটি। এতে জনসাধারণের কাছে পঞ্চায়েতের কাজের স্বচ্ছতা বজায় থাকবে অনায়াসেই।
স্বামীত্ব যোজনা অ্যাপ:
এই অ্যাপটিও গ্রামবাসীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে গ্রামবাসীরা নিজেদের জমির সঠিক নথিপত্র হাতে পাবেন। অনেককেই জমির কাগজপত্র বের করতে বা জমিটি যে তাঁরই, প্রমাণ করতে প্রচুর কাঠখড় পুড়োতে হয়। এই অ্যাপেই হবে মুশকিল আসান। মোদি বলেন, “ড্রোনকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি গ্রামের প্রত্যেক বাড়ি ও জমি ম্যাপের আওতায় আনা হবে। তারপরই সম্পত্তির কাগজপত্র হাতে পাবেন মালিকরা। এতে সম্পত্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটাই দূর হবে।”