সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেলিকমের বাজারে পা রাখা ইস্তক গ্রাহকদের একের পর এক সুখবর দিয়েছে রিলায়েন্স জিও। কখনও বিনামূল্যে ডেটা পরিষেবা ঘোষণা করেছে তো কখনও স্বল্পমূল্যে মিলেছে অতিরিক্ত ভয়েস কলের সুবিধা। যদিও সম্প্রতি কোম্পানির মিনিট পিছু ৬ পয়সা (অন্যান্য নেটওয়ার্কে ভয়েস কলের ক্ষেত্রে) কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি হননি গ্রাহকরা। তবে এবার তার চেয়েও বড় খারাপ খবর শোনাল মুকেশ আম্বানির সংস্থা। শীঘ্রই ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়ানো হবে বলে জানাল জিও।
সম্প্রতি ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া ট্যারিফের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঠিক তার পরের দিন, মঙ্গলবারই জিও জানিয়ে দিল, এবার থেকে কল করতে এবং ডেটা ব্যবহারে আরও বেশি গাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে গ্রাহকদের। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাড়বে খরচ। একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে, “অন্যান্য অপারেটরদের মতোই আমরাও টেলিকম রেগুলেটরি সংস্থা ট্রাই এবং সরকারের সঙ্গে এমনভাবে কাজ করব যাতে ভবিষ্যতে ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও বিরূপ প্রভাব না পড়ে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে ও টেলিকম সেক্টরের উন্নতির জন্য নিয়ন্ত্রকের নিয়মাবলী মেনেই চলা হবে। সেক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মেনেই বাড়ানো হবে ট্যারিফের মূল্য।”
[আরও পড়ুন: ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কতটা সফল? মতামত জানান এই ওয়েবসাইটে]
জিওর এই ঘোষণার পর মনে করা হচ্ছে, গত তিনবছর ধরে চলতে থাকা জিও গ্রাহকদের হানিমুনে এবার ইতি ঘটতে চলেছে। কারণ এবার এয়ারটেল-ভোডাফোনের মতোই ট্যারিফের প্রতিযোগিতার বাজারে নেমে পড়তে চলেছে জিও। বেসরকারি ওই দুই টেলিকম সংস্থা জানিয়েছিল, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে তাদের ট্যারিফের মূল্যবৃদ্ধি হবে। দুই কোম্পানিই গত সেপ্টেম্বরে বড় লোকসানের মুখ দেখেছে। এমনকী প্রবল ক্ষতির মুখে পড়ে ভারত থেকে ব্যবসা গোটানোর চিন্তা-ভাবনাও শুরু করেছিল ভোডাফোন। এমন পরিস্থিতি থেকে নিজেদের পুনরুদ্ধারের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এবার দেখার কোন টেলিকম সংস্থা কী ধরনের ট্যারিফ বাজারে আনে। আর সেই প্রতিযোগিতায় কে কাকে টেক্কা দেয়।