সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে টুইটারে। এই অভিযোগ তুলে প্রায় ১২০০ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রাথমিকভাবে সেই সরকারি নির্দেশিকা ‘অমান্য’ করেছিল মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। জানিয়েছিল, বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না তারা। কিন্তু এবার সেই অবস্থান থেকে ‘সরে দাঁড়াল’ টুইটার কর্তৃপক্ষ!
সরকারের পাঠানো তালিকা ধরে অ্যাকাউন্ট ব্লক করা শুরু করল তারা। আপাতত ৫০০ অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে টুইটার। ওই অ্যাকাউন্টগুলি মাইক্রোব্লগিং সাইটের নিয়ম ভেঙেছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের এই পদক্ষেপের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। তবে কি সরকারের চাপের মুখে নতিস্বীকার করল টুইটার?
[আরও পড়ুন : ১১০০ ‘পাকিস্তানি’ টুইটার হ্যান্ডেল বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের]
এদিন টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের পাঠানো তালিকা ধরে পাঁচশোর বেশি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে। অ্যাকাউন্ট ইউজারদের বিরুদ্ধে টুইটারের নিয়ম ভাঙার প্রমাণ মিলেছে। তবে ওই অ্যাকাউন্টগুলি শুধুমাত্র ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে। অর্থাৎ এ দেশে এই অ্যাকাউন্টগুলির কোনও টুইট দেখা যাবে না। তবে দেশের বাইরে অ্যাকাউন্টগুলি চালু থাকবে। তারা আরও জানিয়েছে, কোনও সাংবাদিক, আন্দোলনকারীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ হবে না।
“We took enforcement actions incl permanent suspension in certain cases against more than 500 accounts escalated across all MeitY (Ministry of Electronics and Information Technology, India) orders for clear violations of Twitter’s Rules”, says Twitter pic.twitter.com/8sZCUHiqKe
— ANI (@ANI) February 10, 2021
[আরও পড়ুন : এবার কি ভারতে বন্ধ হচ্ছে টুইটার? বিকল্প অ্যাপ Koo-এর প্রচার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) নিয়ে #ModiPlanningFarmerGenocide হ্যাশট্যাগ যোগ করে একাধিক ভুয়ো এবং উসকানিমূলক টুইটে সরগরম হয়ে উঠেছিল নেটদুনিয়া। কেন্দ্রের অভিযোগ, বেশকিছু টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তিকর এবং উসকানিমূলক তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রায় ১৩০০ অ্যাকাউন্টের তালিকা টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সাময়িকভাবে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি। যদিও পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। সরকারি নির্দেশ না মানলে টুইটারের কর্মীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। এমনকী, বিকল্প সাইটেরও প্রচার করেছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এর পরই তড়িঘড়ি অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করল টুইটার।