সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব আতঙ্ক ভুলে ব্যাগ গুছিয়ে ফের কি পাড়ি দেওয়া যাবে অজানার উদ্দেশে? ফের প্রকৃতির লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে? ঐতিহ্যের সঙ্গে একাত্ব হতে পারবেন ভ্রমণপিপাসুরা? লকডাউনের মধ্যে নিঃসন্দেহে তা লাখ টাকার সওয়াল। নোভেল করোনা ভাইরাসের দাপট দেশের পর্যটন শিল্পের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। আর লকডাউন শিথিল করার সঙ্গে এবার এই শিল্প পুনরুদ্ধারেও বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্র। শীঘ্রই পর্যটন পরিষেবা ফের চালুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ দেশের অর্থনীতিতে পর্যটনের একটা বিরাট অংশের অবদান রয়েছে। তাছাড়া আন্দামান-নিকোবর, পুদুচেরী, কেরলের মতো রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি অনেকাংশে পর্যটন শিল্পের উপরই নির্ভরশীল। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে দু’মাসেরও বেশি সময় গৃহবন্দি মানুষ। ধুঁকছে বিভিন্ন পর্যটন স্থলের হোটেল, রেস্তরাঁগুলি। হাল ফেরাতে আসরে নামতে চলেছে কেন্দ্র। শোনা যাচ্ছে, নতুন করে পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে শীঘ্রই হোটেল, রেস্তরাঁ, সমুদ্রসৈকত ইত্যাদি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে।
[আরও পড়ুন: আমফানে বিধ্বস্ত সুন্দরবন, পর্যটনের মরশুমে জঙ্গল সাফারি নিয়ে সংশয়]
কেন্দ্রের তরফে এক সিনিয়র আধিকারিকের দাবি, “অনেক রাজ্যের অর্থীনীতিই পর্যটন শিল্পের উপর দাঁড়িয়ে আছে। তারা পর্যটনের ক্ষেত্রে শিথিলতার আরজি জানিয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, লকডাউনের পঞ্চম দফায় হয়তো এক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড় দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।” তবে শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছবে কেন্দ্র। কীভাবে কম সংখ্যক পর্যটককে অনুমতি দিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে এই শিল্পকে লোকসানের খাদ থেকে টেনে তোলা যায়, তা আলোচনা সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে পর্যটকদের ঘোরার অনুমতি দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। সেই সঙ্গে মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক হবে। এছাড়াও রেস্তরাঁয় বসা কিংবা জয় রাইডে ওঠার ক্ষেত্রেও নানা নিয়মবিধি মেনে চলতে হবে পর্যটকদের।
তবে সিদ্ধান্ত অনেকটাই নির্ভর করছে রাজ্যের উপর। রাজ্য অনুমতি না দিলে সেখানে হোটেল-রেস্তরাঁ খোলার সিদ্ধান্তে শিথিলতা নাও আনা হতে পারে। তাই পঞ্চম দফায় কোন পথে এগোয় দেশ, সেটাই এখন দেখার।