সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ জুন থেকে দেশের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ইটালির সীমান্ত। শনিবার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী গিউসপে কন্টের (Giuseppe Conte)। লকডাউনের প্রায় ২ মাস পর দেশের মধ্যেই ইটালিয়দের অবাধে যাতায়াতের অনুমতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণের ভয় টানা দুই মাস ধরে বন্ধ ছিল ইউরোপের পর্যটন কেন্দ্র ইটালি। ফলে অর্থনীতি ঠেকেছে তলানিতে। সংক্রমণের ভয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল ব্যবসাও। তবে শনিবার সকালে ইটালির প্রধানমন্ত্রী ডিগ্রি জারি করে জানান, দেশের অভ্যন্তরে অবাধেই যাতায়াত করতে পারবেন দেশবাসী। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের ছাড়ও দেওয়া হবে। ১৮ মে থেকেই তারা নিজেদের দোকান খুলে ব্যবসা করতে পারবেন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারলে তা ফের বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন প্রধানমন্ত্রী গিউসপে কন্টে। ইটালির আগে পোর্টুগাল, স্পেন, ফ্রান্স লকডাউনের বেস কিছু নিয়মে ছাড়ের ঘোষণা করেছিল। তবে অর্থনীতির হাল ফেরাতে ব্যাবসা শুরুর ইঙ্গিত দিলেন মারণ ভাইরাসের জেরে মাত্র কয়েকদিন আগের শ্মশানের নিস্তবদ্ধতা এখনও দক্ষিণ ইউরোপীয়দের আতঙ্কিত করে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী কন্টের ঘোষণার পরই জানা যায়, ইটালিতে ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে মৃত্যুমিছিল। শুক্রবার করোনার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪২ জন। যেখানে চলতি সপ্তাহে শুরুতেই সংখ্যা ছিল ২৬২। লকডাউনের কড়া নজরদারি চালাতে ইটালিকে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ভাগে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সেই অঞ্চলের প্রধানেরা চাইলেই সংক্রমণ রুখতে নতুন করে কড়া নিময় লাগু করতে পারবেন। স্থানীয় এলাকাগুলিতে লকডাউন পালন করতে পারবেন তারা।
[আরও পড়ুন:‘শুধুই ১৩টা শূন্য’, নির্মলার প্যাকেজ বরাদ্দ দেখে ‘হতাশ’ বিরোধীরা]
দুই মাস পর দেশে লকডাউনের নিয়মে ছাড় দিয়ে কন্টে জানান, “নির্মাণ কাজ, কারখানাগুলি তাদের প্রস্তুতির কাজ শুরু করতে পারে। এমনকি ইটালিয়দের রাস্তায় হাঁটা, জগিং ও পরিবারের সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে ঘোরার ও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।” দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রশাসন গত বুধবার ৫হাজার ৫শো কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মার্চ থেকে করোনার জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইটালির মিলান। এখন দেখার লকডাউনের প্রভাব কাটিয়ে কত দ্রুত ইটালি নিজেকে পুরোনো ছন্দে ফিরিয়ে আনতে পারে।