Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভাইরাস

ফাঁকা রিসর্ট, বাতিল বুকিং, পর্যটনের ভরা মরশুমে খাঁ খাঁ করছে ডুয়ার্স

প্রায় পর্যটকশূন্য ডুয়ার্সে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

Coronavirus ruined tourism in Bengal's Dooars region
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 16, 2020 6:50 pm
  • Updated:March 17, 2020 5:09 pm

অরূপ বসাক, মালবাজার: করোনার আতঙ্কে জবুথবু গোটা বিশ্ব। সংক্রমণ রুখতে জনবহুল এলাকায় যেতে বারণ করা হচ্ছে সকলকে। তাই বাধ্য হয়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনাও বাতিল করছেন অনেকেই। তার প্রভাবই পড়েছে ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পে। বাতিল বহু রিসর্ট এবং লজের বুকিং। প্রায় পর্যটকশূন্য ডুয়ার্সে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

পর্যটনের মরশুমে গত ১২-১৪ মার্চ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চলে তৃণভোজী প্রাণী সুমারি হয়। তার ফলে জঙ্গলের দরজা পর্যটকদের জন্য বন্ধ ছিল। তাতেই হতাশ হয়ে অনেক পর্যটক ফিরে গিয়েছেন। তার উপর রয়েছে করোনা আতঙ্ক। পর্যটনের ভরা মরশুমেও ফাঁকা ডুয়ার্স। অন্যান্য বছর এই সময়ে মালবাজার, চালসা, ধুপঝোড়া, লাটাগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকার লজ ও রিসর্টগুলি পর্যটকের ভিড়ে গমগম করে। তবে চলতি বছর সেই দৃশ্য একেবারেই ব্যতিক্রম। বেশিরভাগ লজগুলিতে পর্যটকদের সংখ্যা সামান্য। অনেক রিসর্টে বহু বুকিং বাতিলও হয়েছে।

Advertisement

Dooars

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক এবার দার্জিলিংয়েও, ঠান্ডার আমেজ নিতে চলুন লামাহাটা]

মালবাজার শহরের লজ মালিক ও পর্যটন ব্যবসায়ী দীপশংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বুকিং যে সকলেই বাতিল করেছেন তা বলা যাবে না। মার্চ মাসের কয়েকটি বুকিং ছিল। সেগুলি মে মাসে পরিবর্তন করেছেন। তাছাড়া এখান থেকে অনেকে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু পুরী, ভুবনেশ্বরের হোটেলগুলি বুকিং হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় পর্যটকরা বাইরে কোথাও যেতে পারছেন না। দেখা যাক এই সমস্যা কত দিন থাকে।” চালসা শালবাড়ি এলাকার রিসর্ট মালিক জিয়াউর রহামান বলেন, “আতঙ্ক কি না জানি না। তবে প্রায় ১০-২০ শতাংশ বুকিং বাতিল হয়েছে। তাছাড়া পর্যটকের সংখ্যাও যথেষ্ট কম। বহু রিসর্ট খাঁ-খাঁ করছে। অনেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বুকিং করেছিলেন। কিন্তু কেউই আসেননি। অনেকে দিন পরিবর্তন করেছেন। আবার অনেকেই পাঁচদিনের বুকিং করলেও, দু’দিন থেকেই চলে যাচ্ছেন।”

Dooars

সাধারণত ডুয়ার্সে পর্যটনের ভরা মরশুম অক্টোবর থেকে মে মাস। ১৪ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডুয়ার্সে বিভিন্ন জঙ্গলের দরজা বন্ধ থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এখন পর্যটন শিল্পের ভরা মরশুম। এখন এই অবস্থা হলে পর্যটন ব্যবসা ধাক্কা খাবে বলে অনুমান ব্যবসায়ীদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ