অরূপ বসাক, মালবাজার: ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে এবার নতুন ডেস্টিনেশন ডালিমটারের ডালিমফোর্ড। বছরের শুরু থেকেই ঢেলে সাজানো হচ্ছে কালিম্পংয়ের গরুবাথানের এই ডালিমটার। জানা গিয়েছে, মূলত পর্যটক টানতেই ডালিমটারকে ঢেলে সাজাচ্ছে জিটিএ। নতুন আয়োজনে পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছেন ট্যুর গাইডও।
[ধর্মের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের মেলবন্ধন, রেলের ভ্রমণ প্যাকেজে জুড়ল স্ট্যাচু অফ ইউনিটিও]
গরুমাথান থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরত্ব এই ডালিমটারের। আর ডালিমটার থেকে ভিউ পয়েন্ট ডালিমফোর্ড এলাকায় যাওয়ার উপায় গাড়ি বা ট্রেকিং। এছাড়া ডালিমখোলা নদী হয়েও যাওয়া যায় ডালিমফোর্ডে। আর ফোর্ড থেকেই স্পষ্ট দেখা যায় ডুয়ার্স, পাহাড় ও শিলিগুড়ি-সহ চারিপাশ। সেখানে রয়েছে কয়েকটি ঝরনাও। আছে রাজাদের পুরনো দুর্গের ভগ্নাবশেষ। যদিও বর্তমানে সংস্কারের কাজ চলছে। দুর্গ থেকেই দেখা যাবে সুর্যোদয় ও সুর্যাস্ত। রয়েছে গাইডের ব্যবস্থা। সেই গাইডই আপনাকে নিয়ে যাবে আপনার পছন্দের ডেস্টিনেশনে। সেই সঙ্গে ঘুরে দেখাবে গোটা ডালিমটার চত্বর।
[পাহাড়ের পর্যটনকে চাঙ্গা করতে চলচ্চিত্র উৎসবের পরিকল্পনা রাজ্যের]
এলাকার পর্যটনের সভাপতি দেবপ্রসাদ রাই জানান, আগে পর্যটকরা এলেও তাদের রাত্রিবাসের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ফলে পর্যটকরা এলাকা ঘুরে ফিরে যেতে বাধ্য হতেন। কিন্তু বর্তমানে পর্যটকদের জন্য চারটি হোমস্টে রয়েছে। সেখানে পর্যটকদের রান্নার ব্যবস্থা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ডালিমটার সাজাতে জিটিএ-এর পক্ষ থেকে ২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। যাতে পর্যটক শিল্পে এগোতে পারে কালিম্পং-সহ গোটা উত্তরবঙ্গ। এবিষয়ে পর্যটকরা বলেন, ‘খুব সুন্দর জায়গা। জিটিএ-এর পক্ষ থেকে ভাল কাজ হচ্ছে। এই কেল্লা দেখতে প্রতিবছর বহু পর্যটক আসে শুনেছি। তাই আমরাও এলাম।’ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ডালিমটার। আছে ট্রেকিংয়ের ব্যাবস্থা। সব মিলিয়ে ইতিমধ্যেই ডালিমটারের সৌন্দর্য উপভোগে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা।