সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আরও বেশি করে পর্যটক টানতে ‘হীরক রাজার দেশ’ জয়চন্ডী পাহাড়ে ইকো পার্ক গড়বে বন দপ্তর। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর কলেজের মাঠে দ্বিতীয় বনবান্ধব উৎসবে শনিবার শিল্প শহর রঘুনাথপুরের দাবি মতো এলাকার বিধায়ক পূর্ণ চন্দ্র বাউরি ও পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় তা জানানোর পর রাজ্যের বনমন্ত্রী একথা ঘোষণা করেন। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন,“আমাদের জমির ব্যবস্থা করে দিলে আমরা ওই পাহাড়ে ইকো পার্ক গড়ে দেব। তাতে এই পাহাড়ে আরও বেশি পর্যটক আসবেন।”
[পরিযায়ীদের আস্তানা হিসেবে সেজে উঠবে মালদহের বড় সাগরদিঘি]
আসলে এই পাহাড় আজও ন্যাড়া। অতীতে যা গাছ ছিল তার অনেকটাই কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এখন গাছ কাটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই এই পাহাড়ের শ্রী ফেরাতে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসন যৌথভাবে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নেয়। কিন্তু তাতেও এই পাহাড়ের হাল ফেরেনি। সবুজ তো দূর অস্ত এই পাহাড় আজও খটখটে, রুখা। তাই বিধায়ক ও পুরপ্রধানের দাবি মেনে রঘুনাথপুরের জয়চন্ডী পাহাড়েই এই পার্ক গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় বন দপ্তর । শনি ও রবিবার দু’দিনের যে দ্বিতীয় বনবান্ধব উৎসব রঘুনাথপুর কলেজ মাঠে হয়েছে সেখান থেকে এই পাহাড় দেখা যায়। তাই পার্কের দাবি আসা মাত্রই ওই ন্যাড়া পাহাড় দেখে জয়চন্ডীতে পার্ক গড়ার নির্দেশ দেন বনমন্ত্রী।
বিধায়ক পূর্ণ চন্দ্র বাউরি বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা প্রশাসনকে জমি খোঁজার জন্য বলে দিয়েছি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি আমরা জমি দিয়ে দেব।” বন দপ্তরের আশা, জয়চন্ডী পাহাড়ে ইকো পার্ক তৈরি হলে এই পাহাড়ের হাল ফিরবে। যদিও এই এলাকায় রঘুনাথপুর পুরসভা ‘গ্রিন সিটি মিশন’-এ একটি উদ্যান তৈরি করছে। তবে বন দপ্তরের ইকো পার্ক হলে এই পাহাড় পর্যটকদের আরও নজর কাড়বে। পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই পার্ক হলে এই পাহাড় আর চোখও টানবে। আরও ভিড় বাড়বে পর্যটকদের।” আশির দশকের একেবারে গোড়ায় এই পাহাড়কে সেলুলয়েডে ধরেছিলেন অস্কার জয়ী প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। তাঁর ‘হীরক রাজার দেশ’ ছবির শুটিং হয় এই পাহাড়ে। তারপর থেকেই এই পাহাড় ‘হীরক রাজার দেশ’ নামে পরিচিত। এখন এই পাহাড় ট্রেকিং স্পট নামেও রোমাঞ্চ প্রিয় পর্যটকমহলে পরিচিত।
[বন্দুক চাই না, শিশুদের বাঁচাও! ‘March for Our Lives’-এ থমকে গেল আমেরিকা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.