সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহজুড়ে অফিস-কাছারির ক্লান্তি, বাড়ির কচিকাঁচাদের স্কুল-কলেজ, জীবন ঘেঁটে ঘ!… সংলাপ বড় চেনা চেনা ঠেকছে তো? তা লাগবেই তো, এতো আমাদের রোজনামচা। অফিস-বাড়ি.. বাড়ি-অফিস! যখন তখন মুডেরও দশাশয়ী অবস্থা। দু-এক বাক্য বিনিময়েই ঝগড়া লাগার জোগাড় প্রায়।
ক্লান্ত তো?… বইকী! তা করণীয় কী? দিন দুয়েকের জন্য এসব ঝামেলা ঝক্কি ঝেড়ে দলছুট হয়ে ঘুরে আসুন দেখিনি! প্রকৃতির কাছে শপে দিন নিজেকে। মন তো ঠিক হবেই, উপরন্তু রোজকার জীবনের গরমিল হওয়া হিসেবেরও সমাধান মিলতে পারে। ভাবছেন, কোথায় যাবেন? কুছ পরোয়া নেহি, রইল এহেন পাঁচ জায়গার ফিরিস্তি। কলকাতার কাছেপিঠেই। যাতে অনায়াসেই উইকেন্ডের দু’দিন কাটিয়ে সোমবার অফিস করতে পারেন।
[দোলে গন্তব্য হোক পশ্চিম, লাল মোরামের পথ বেয়ে ঘুরে আসুন শিমুলতলা]
বাবলি: বীরভূমেই ১২ একর জায়গা নিয়ে তৈরি বাবলি ফার্ম। সবুজের সমারোহ, সতেজ প্রকৃতি এবং পাখির কলতানে ভাঙবে ঘুম। সকালে প্রাতঃরাশের জন্য ফ্রেশ হয়ে সোজা চলে যান সহদেবদার ক্যান্টিনে। জঙ্গল ট্রেকিং করতে চাইলে অনায়াসেই আপনার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বেড়িয়ে পড়তে পারেন। চাইলে দূরবীনে চোখ রেখে পাখি দেখা কিংবা আলসে দুপুরে মাছ ধরার নেশাটাকেও ঝালিয়ে নিতে পারেন এখানে। পাশেই শান্তিনিকেতন চাইলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
কোথায়: দ্বারোন্দা গ্রাম, শান্তিনিকেতনের কাছে।
খরচ: মাছাপিছু ১৪০০ টাকা প্রতিদিন।
আমবাগান: নদীর ধারে একফালি এই ট্রি-হাউস রিসর্ট ফিরিয়ে দিতে পারে আপনার শৈশব। রিসোর্টের ঘরে ঘরে বাঁশের তৈরি আসবাব। গোটা রিসোর্টের চারিদেক রয়েছে আমবাগান। এই বাগানে মিলবে প্রায় ২৫ ধরনের আমগাছ। রিসোর্টের ঘরের নামগুলোও বেশ মজাদার। একেক প্রজাতির আমের নামে। কোনওটা গোলাপখাস, হিমসাগর তো কোনওটা আবার তোতাপুরি, আম্রপলি। ঘরে প্রবেশের আগে ঠান্ডাই হিসেবে মিলবে নারকেলের জল। সে অমৃত! এখানকার বিশেষত্ব হল, রিসর্টের গাছের উপর থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
কোথায়: পশ্চিম শিবপুর, আরামবাগ।
খরচ: মাথাপিছু ৪০০০-এর উপর প্রতিদিন।
মোরাম: শান্তিনিকেতনের অন্যতম পরিবেশবান্ধব জায়গা, মোরাম। হোটেলে ঢোকার পথে পায়ের সামনে নুইয়ে থাকা রং-বেরঙের ফুল, ঘাস লতাপাতা আপনাকে স্বাগত জানাবে। ব্যালকনির বেতের চেয়ারে বসে আপনার ক্লান্ত মনকে সতেজ করে তুলুন। দেখবেন শরীরের ধকলটাও কখন যেন আনমনে পাখির ডাক আর প্রকৃতির আদরে বিদায় নিয়েছে।
কোথায়: দেবানন্দপুর, শান্তিনিকেতন।
খরচ: মাথাপিছু ২০০০ প্রতিদিন।
পলাশবাড়ি: ভাবুন তো, এক বাগান বাড়ি, যা কিনা হাজারখানা পলাশ গাছে ঘেরা। পড়ন্ত শীতে এবং বসন্তের অগ্রিম দূত হিসেবে চারিদিকে পলাশের আনাগোনা। আগুন রঙা পলাশ আর ওদিকে ইট রঙা বাড়ির দেওয়াল… স্বপ্নরাজ্যে বিচরণের মতোই মায়াবী! চারিদিকে পলাশ, শিমূল, মহূয়া গাছের ছড়াছড়ি। এ স্বপ্নের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে পুরুলিয়ার বরন্তিতে।
কোথায়: বরন্তি, পুরুলিয়া।
খরচ: ৮০০-এর বেশি মাথাপিছু প্রতিদিন।
[পর্যটকদের জন্য সুখবর, পঞ্চবটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী]
বেলুন: মাছ, পরিযায়ী পাখির ভিড়ে দিন কাটাতে চান? দিব্যি ঘুরে আসতে পারেন বর্ধমানের শহরতলীর এই রিসর্টে। বর্ধমানের কেতুগ্রামে অবস্থিত বেলুন রিসর্ট। নদীর ধারে বন্ধুবান্ধব মিলে পিকনিক হোক কিংবা একজন সঙ্গী নিয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ছবি তোলাটাও কিন্তু এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে।
কোথায়: কেতুগ্রাম, বর্ধমান।
খরচ: প্রায় ২,২৫০ মাথাপিছু প্রতিদিন।