সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝিন্দের বন্দী, প্রেম রতন ধন পায়ো- ছবিগুলোর মধ্যে কোথায় মিল বলুন তো?
স্রেফ কাহিনিরেখায় নয়! আসলে তো দুটো ছবিই একটা নির্দিষ্ট ইচ্ছে পূরণের গল্প। হঠাৎ একদিন রাজা সাজা, রাজার হালে দিন কাটাবার ইচ্ছে পূরণের গল্প।
এরকম ইচ্ছে কি আমাদের সবারই মনের মধ্যে কোথাও একটা লুকিয়ে থাকে না? পুরনো রাজপ্রাসাদ দেখলে কি তার একটা ঘরে অন্তত একটা রাতও থেকে যেতে ইচ্ছে করে না?
সেই ইচ্ছে পূরণের সুযোগ কিন্তু হাতের কাছেই রয়েছে। কলকাতা থেকে স্রেফ ঘণ্টাকয়েকের দূরত্বেই!
জায়গার নাম বাওয়ালি!
নাম শুনে যদি পেটের মধ্যে একটা হাসি খিলখিলিয়ে ওঠে, তাহলে সাবধান! আপনি জানেনও না, আপনার জন্য ঠিক কীরকম রাজকীয় জীবনযাত্রা নিয়ে দিন গুনছে বাওয়ালি রাজবাড়ি।
জানা যায়, বজবজের এই বাওয়ালি রাজবাড়ি তৈরি হয়েছিল মণ্ডল পরিবারের হাতে। রাজারাম মণ্ডল ছিলেন হিজলির রাজার সেনাপতি। বীরত্বের জন্য তিনি লাভ করেন ৫০ বিঘা জমি আর বিস্তর ধনদৌলত। তাঁর হাতেই এখনকার বজবজে গড়ে ওঠে এই বাওয়ালি রাজবাড়ি।
পরে অবশ্য কালের গ্রাসে মণ্ডল পরিবারের এই সৌভাগ্য অন্তর্হিত হয়! অবহেলা আর দারিদ্র্য এসে গ্রাস করে রাজবাড়িকে।
তার পরে কেটে গিয়েছিল দীর্ঘ দিন। অবশেষে সেই ভাঙাচোরা রাজবাড়ি সংস্কার করা হয়, এক সময়ের বসতবাটি রূপ নেয় হেরিটেজ রিসর্টের।
বাওয়ালি রাজবাড়ির আসল মজা এর বিশালতায়! ঢোকার মুখেই বড় বড় সিঁড়ি, কারুকাজ করা থাম, দীর্ঘ উঠোন, বারান্দা এক লহমায় আপনাকে নিয়ে যাবে প্রাচীন বাংলায়। রাজকীয় বাংলায়।
তার পরে যখন ঘরে গিয়ে উঠবেন?
নতুন করে শুরু হবে অবাক হওয়ার পালা! বাওয়ালি রাজবাড়ির প্রতিটি ঘর আপনাকে এনে দেবে ইতিহাসের পাতায় সময় কাটাবার সুযোগ। আসবাব থেকে শুরু করে বাসনকোসন- সবেতেই পাবেন রাজকীয় মেজাজ।
বলাই বাহুল্য, এই রাজবাড়িতে শুধু থাকাটাই জমিয়ে তুলতে পারে আপনার উইক-এন্ড। খুব স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ঘর থেকে বাইরে পা ফেলতে ইচ্ছে করবে না। করলেও, থেকে যেতে ইচ্ছে করবে রাজবাড়ির চৌহদ্দিতেই!
এছাড়াও কিন্তু আরও অনেক কিছু দেখার আছে বাওয়ালিতে। রয়েছে পোড়ামাটির গোপীনাথ মন্দির, রাধামাধব মন্দির। রয়েছে জলটুঙ্গি, মানে রাজাদের হ্রদের মধ্যে তৈরি করা গ্রীষ্মাবাস।
খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও আপনার করে দেবে রাজবাড়িই!
এবার শুধু আপনি ঠিক করে ফেলুন, কবে জীবন হতে পারে রাজকীয়!