সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিঠে রোদ, জাঁকিয়ে শীত। বছরের শুরুর উইকএন্ড, হাতে ছোট্ট ছুটি। লং ড্রাইভে বেরনো ইচ্ছেপাখিটা ছটফটিয়ে মরছে যেন। তাহলে আর কী? ছোট্ট লাগেজ আর গাড়ির চাবিটা হাতে নিয়ে পাখিটাকে মুক্তি দিয়েই দিন। ভোর ভোর বেরিয়ে পড়ুন গন্তব্যের পথে। কিন্তু কুয়াশাচ্ছন্ন পথ। সুতরাং, বেড়ানোর আনন্দে গাড়ির গতি হু হু করে বাড়িয়ে দিলে চলবে না মোটেই। সাবধানে স্টিয়ারিং ধরতে হবে। কী কী সাবধানতা নিতে হবে, দেখে নিন।
গাড়ির গতি হোক ধীর
কুয়াশায় যেমন দৃশ্যমানতা কমিয়ে দেয়, তেমনই রাস্তা হয়ে যায় পিছল। তাই সেই রাস্তায় গাড়ি চালানো চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই দুটি বিষয়ই ঘাতকের কাজ করে গাড়ির গতি একটু এদিক-ওদিক হলেই। তাই যতটা সম্ভব কম গতিতে গাড়ি চালাতে হবে। ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যেই তা রাখুন। তাতে ব্রেকের উপরেও চাপ পড়বে না। সামনে কোনও মোড় থাকলে গতি আরও কমিয়ে দিন। কারণ, আপনি জানতেই পারবেন না যে কোন দিক থেকে কে এসে মোড়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রবল।
[আরও পড়ুন: ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য দারুণ খবর, এবার ভিসা ছাড়াই ঘোরা যাবে মালয়েশিয়া]
সরলরেখা বরাবর চলুন
যে রেখা ধরে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেই রাস্তা বরাবরই চলতে থাকুন। এদিক-ওদিকে ঘোরাবেন নেবেন না। তাতে গাড়ির চাকা পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার আগে অবশ্যই দেখে নিন রাস্তাটি একেবারে নিরাপদ কি না।
উজ্জ্বল আলো জ্বালাবেন না
বেশিরভাগ চালকই কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালানোর জন্য উজ্জ্বল ধরনের আলো ব্যবহার করেন। কিন্তু সেটা গোড়ায় গলদ। সেই আলোয় প্রতিফলনের ফলে সামনের আচ্ছন্নতা বিশেষ বোঝা যায় না। তাছাড়া আপনার গাড়ির আলোতে অন্য চালকদের দৃশ্যমানতা বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মৃদু আলো ব্যবহার করুন।
প্রয়োজনে স্টিয়ারিং থামিয়ে অপেক্ষা করুন
চলতে চলতে যদি মনে হয় কুয়াশা আরও ঘন হচ্ছে, তাহলে দু’বার না ভেবে গাড়ির স্টিয়ারিং থামিয়ে দিন। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকুন। কখনওই ঝুঁকি নিয়ে চলবেন না। ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে গেলে, ফের এগোন।
[আরও পড়ুন: CAA বিক্ষোভের জের, অসমে পর্যটন শিল্পে ১০০০ কোটি টাকার লোকসান]
এই কয়েকটি পরামর্শ মাথায় রাখলেই শীতকালের ভোরে আপনার সফর হোক নিরাপদ, আনন্দের। পাশে বসা প্রিয়জনের সঙ্গে প্রকৃতির এই রূপ দেখতে দেখতে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যান অন্য কোথাও, অন্য কোনওকানে।