সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও ঝিরঝিরে আবার কখনও বা মুষলধারায় বৃষ্টি৷ আকাশে মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরি দেখেই মন উড়ু উড়ু৷ ভাবছেন কোথাও বেড়াতে গেলে মন্দ হয় না৷ কিন্তু যাবেন কোথায়? দু-তিনদিনের ছুটি থাকলে, অনায়াসে আপনার ডেস্টিনেশন হতে পারে ওড়িশার দারিংবাড়ি৷ যদি আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপিপাসু হন, তবে দারিংবাড়ি আপনার ভাল লাগতে বাধ্য৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ‘ওড়িশার কাশ্মীর’ দারিংবাড়ি। পুরো পাহাড়টা ঘন সবুজের চাদরে মোড়া। ওপরে নীল আকাশ তার নিচে সবুজের সমারোহ। বর্ষায় সবুজের রূপ আরও খোলতাই হয়। দারিংবাড়িকে ঘিরে আছে অসংখ্য জলপ্রপাত৷ বর্ষায় প্রপাতগুলি জলে ভরে ওঠে। প্রকৃতি কেমন যেন ঝলমল করে। এত ঝকঝকে আবহাওয়া ভাবাই যায় না।
কীভাবে যাবেনঃ বিশাখাপত্তনম থেকে ২৭৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দারিংবাড়ি৷ হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বরগামী যে কোনও ট্রেনে যেতে পারেন। বারহামপুর স্টেশনে নেমে যে কোনও গাড়িতেই পৌঁছে যাবেন দারিংবাড়ি। দূরত্ব মাত্র ১১৫ কিলোমিটার৷ ভুবনেশ্বর থেকে গাড়িতে করে দারিংবাড়ি যাওয়া সম্ভব৷
কোথায় থাকবেন: দারিংবাড়িতে থাকার জন্য সরকারি বাংলো যেমন রয়েইছে, তেমনই রয়েছে বেসরকারি একাধিক হোটেল৷ বর্ষা বা শীতে গেলে আগাম বুকিং করে যাওয়াই ভাল৷ তবে বছরের অন্যান্য সময়ে গেলে থাকার সমস্যা হবে না৷
দারিংবাড়ির আকর্ষণ:
১৷ হিল ভিউ পয়েন্ট: দারিংবাড়ি যাবেন আর হিল ভিউ পয়েন্ট যাবেন না, তা কি সম্ভব? দারিংবাড়ি গেলে এই স্থানটাকে কিছুতেই বাদ দেওয়া যাবে না। হিল ভিউ পয়েন্ট থেকে সমগ্র দারিংবাড়ি ও আশপাশের এলাকাটাকে দেখা যায়। সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত সময়ে হিল ভিউ পয়েন্ট যাওয়াই ভাল৷ অপূর্ব সুন্দর এই দৃশ্য মিস করবেন না যেন!
২৷ রুসিকুল্লাহ নদী: দারিংবাড়ি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে এসেছে রুসিকুল্লাহ নদী। ওই সৌন্দর্য আপনার মন ভোলাতে বাধ্য৷
৩৷ দলুরি নদী: সমগ্র দারিংবাড়ি পাহাড় জুড়ে অসংখ্য সুন্দর ঝরনা তৈরি করেছে দলুরি নদী।
৪৷ পুদুডি জলপ্রপাত: ওড়িশা রাজ্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পুদুডি জলপ্রপাত। দারিংবাড়ি এসে এই জলপ্রপাতটি না দেখলে পুরো ট্যুরই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
৫৷ লাভার্স লেন: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা লাভার্স লেনের প্রেমে পড়তে আপনি বাধ্য৷ নদীর পাশে বসেই কাটাতে পারেন বেশ কিছুটা সময়৷ মন্দ লাগবে না৷
৬৷ বেলঘর অভয়ারণ্য: ১৬,১৭৪,৪৬ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত বেলঘর অভয়ারণ্য। দারিংবাড়ি থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে। ঘন সবুজে ঢাকা এই জঙ্গলে প্রচুর বন্যপ্রাণীর সন্ধান মেলে, বিশেষ করে দাঁতাল হাতি। এছাড়াও অসংখ্য পাখী, বুনো শুয়োর, হরিণ দেখতে পাওয়া যায়। এই জঙ্গলের বনবাংলোটি আরেকটি আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে।