সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোঁফের আমি, গোঁফের তুমি। গোঁফ দিয়ে যায় চেনা! কবি মজা করে এই কথা বললেও বিষয়টি অনেকাংশে সত্যি। মুখ ও নাকের মাঝে ‘গোঁফ’ না থাকলে অনেক সময় চেনা ব্যক্তিকে চিনতে অসুবিধা হয়। আর সেই গোঁফ যদি না জানিয়ে কেউ কেটে দেয়। তাহলে নাপিতের নামে এফআইআরও দায়ের করতে পারে খদ্দের! শুনতে অবাক লাগলেও এইরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের কানহান এলাকায়।
[আর পড়ুন- আকাশে ওড়ার শখ! টেক অফের সময় প্লেনের ডানায় উঠল যুবক]
সম্প্রতি ওই এলাকার একটি সেলুনে চুল-দাড়ি কাটতে গিয়েছিলেন ৩৫ বছরের কিরণ ঠাকুর। কিন্তু, সেই দোকানের মালিক সুনীল লকশনে না জানিয়ে তাঁর গোঁফ কেটে দেন বলে অভিযোগ। পরে বাড়িতে গিয়ে সুনীলকে ফোন করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান কিরণ। কিন্তু, সেসময় সুনীল তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বলে অভিযোগ। এরপর ওই নাপিতের বিরুদ্ধে নাগপুর থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করেন কিরণ।
বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় নাপিতরাও। তাঁদের সংগঠন নাভিক একতা মঞ্চের তরফে কিরণকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এলাকার প্রতিটি সেলুনে যাতে কিরণকে ঢুকতে না দেওয়া হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়।
[আর পড়ুন- বিয়েবাড়ির থিমে ভোলবদল, গাধাকে সাজানো হল জেব্রা!]
এপ্রসঙ্গে নাভিক একতা মঞ্চের সভাপতি শরদ ওয়াটকর জানান, “লকশনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। গোঁফ কাটার আগে ওই যুবককে জিজ্ঞাসা করেছিল সুনীল। এবং গোঁফ কাটার পরে সে বাড়িও চলে গিয়েছিল। কিন্তু, সন্ধেবেলা সুনীলের দোকানে এসে ভাঙচুর চালায়। তাই ওই যুবকের বিরুদ্ধেও পালটা অভিযোগ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের সংগঠনের মিটিংয়ে মিথ্যে অভিযোগ জানানোর জন্য তাকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার বিষয়টি নিয়ে কানহান মোড়ে একটি পদসভাও করা হবে।”