সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কান্না ভাড়া করার বিষয়টা ভারতে নতুন না। রাজস্থানের মরু অঞ্চলের ‘রুদালী’দের কথা বলি ছবির সূত্রে গোটা ভারতের জানা। সেই প্রাচীন প্রথাকেই মনে করিয়ে দিল আধুনিক জাপানের এক সংস্থা। সম্প্রতি তারা চালু করেছে এমন পরিষেবা, যার মাধ্যমে শহুরে নাগরিকদের কাঁদতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কান্না মোছানোর জন্যও ভাড়ায় মিলছে সুপুরুষ যুবক। মন হালকা হয়ে যাওয়ার পর তারাই সযত্নে মুছিয়ে দিচ্ছে চোখের জল।
‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’, চোখের জল ফেলা দুর্বলতা, মানসিক যন্ত্রণা গিলে ফেলতে হয়, এ হেন ভাবনার বিপরীতে কাজে নেমেছে জাপানি সংস্থাটি। মনোবিদরাও যে কথা বলেন, মনের ভাব প্রকাশ করাই মনকে সুস্থ রাখার একমাত্র চাবিকাঠি। এই মন্ত্রকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষকে প্রাণ ভরে কাঁদতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী ভাড়ায় মিলছে সুপুরুষ যুবক। যারা কাঁদতে সাহায্য করার পাশাপাশি চোখের জল মুছিয়ে দেবে।
টোকিওর ইকেমেসো দানশি নামে সংস্থা কাজের চাপ কমাতে এই পরিষেবা দিচ্ছে অনন্ত ইঁদুর দৌড়ে ক্লান্ত নাগরিকদের। সংস্থায় রয়েছে প্রশিক্ষিত ‘হ্যান্ডসাম উইপিং বয়েজ’, অর্থাৎ সুপুরুষ কাঁদুনে যুবকের দল। তারা কান্না মুছিয়ে দিতেও সমান পারদর্শী। ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা খরচ করলেই আপনার ডাকে সাড়া দেবে হ্যান্ডসাম কাঁদুনেরা। আপনাকে কাঁদতে সাহায্য করবে তারা।
সংস্থার কর্ণধার হিরোকি তেরাই জানিয়েছেন, একসঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কাঁদলে মন ঝরঝরে হয়ে যায়। উন্নতি হয় মানসিক স্বাস্থ্যের। সেই ভাবনা থেকেই কান্নার তথা মন খারাপের সঙ্গীর ব্যবসা শুরু করেছে ইকেমেসো দানশির। মনোবিদরাও বলছেন, ক্রমশ সম্পর্কের সুতো আলগা হওয়া অবদমিত সমাজের বাই প্রোডাক্ট কান্নার ব্যবসা!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.