Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুণে লিঙ্গবৈষম্য

লিঙ্গবৈষম্যের অভিনব প্রতিবাদ, শাড়ি-গয়না পরে মহিলা সাজলেন কলেজ ছাত্ররা

নেটদুনিয়ায় প্রশংসিত হচ্ছে তাঁদের ছবি ও চিন্তাভাবনা।

Pune students dressed up in sarees to send message on gender equality
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 6, 2020 12:35 pm
  • Updated:January 6, 2020 12:35 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলা-পুরুষ সকলেই সমান মর্যাদার অধিকারী। সকলেরই সমান সম্মান প্রাপ্য। মুখে লিঙ্গসাম্যের কথা অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু পুণের কয়েকজন ছাত্র লিঙ্গসাম্যের পক্ষে যেভাবে সওয়াল করলেন, তা নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব। শাড়ি-গয়না পরে সলজ্জ মুখে ক্যাম্পাসে হাজির পড়ুয়ারা!

কারও পরনে তাঁতের শাড়ি, কেউ পরেছেন লাল সিল্ক। শাড়ির সঙ্গে মানানসই গলার হার। চোখে আবার হালকা কাজলও রয়েছে। কেউ ঠোঁট রাঙিয়েছেন লাল লিপস্টিকে। নারী সেজেই পুরুষতন্ত্রের প্রথাগত ধারণায় কুঠারাঘাত করেছেন তাঁরা। এমনই অভিনব পন্থায় লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন পুণের ফার্গুসন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এই কর্মসূচির নাম রেখেছেন ‘টাই অ্যান্ড শাড়িডে’। ছাত্ররা যখন শাড়িতে সেজে উঠেছেন, তখন ছাত্রীদের পরনে শার্ট-প্যান্ট-টাই। যা ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরাই দায়ী, JNU-এর গন্ডগোলে বিতর্কিত বিবৃতি রেজিস্ট্রারের]

যুগ পরিবর্তন হলেও এখনও সমাজের একাংশের মানসিক পরিবর্তন ঘটেনি। তাই তো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরও কন্যা ভ্রুণহত্যা, গার্হস্থ্য  হিংসা, অশিক্ষা, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনা শিরোনামে উঠে আসে। এসবরের বিরুদ্ধে বারবার গর্জে উঠেছে দেশের শিক্ষিত মানুষরা। মোমবাতি মিছিল থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ, সবই হয়েছে। কিন্তু মানসিকতা বদলানো সম্ভব হয়নি। তবে, কোনও বিক্ষোভ নয়, এসবের বিরুদ্ধে পুণের পড়ুয়ারা অহিংস আন্দোলনের পথে হেঁটেছেন। তাঁদের মতে, ধর্ষণ থেকে ভ্রুণহত্যা তখনই সমূলে উপড়ে ফেলা সম্ভব, যখন ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে এই শিক্ষা দেওয়া হবে। নারীরা যে ভোগের পণ্য নন, তাঁদেরও সম্মান করা উচিত, রক্ষা করা দরকার এসবই শেখাতে হবে ছোট থেকে। তবেই দূর হবে লিঙ্গবৈষম্য

Advertisement

আকাশ পওয়ার, রুশিকেশ সানপ এবং সুমিত হোনওয়াদাজকরের শাড়ি পরা ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। প্রশংসিত হচ্ছে তাঁদের চিন্তাভাবনাও। আকাশের কথায়, “সহপাঠী বান্ধবীরাই আমাদের শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। মহিলাদের উপর যেভাবে নির্যাতন বেড়ে চলেছে, যেভাবে তাদের স্কুলে-কলেজে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে, সমাজের সেই অন্ধকার দিকগুলির বিরুদ্ধে আমরা এই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” সুমিত বলছেন, গ্রাম থেকে মফস্বল- সব জায়গার স্কুল-কলেজেই এখনও মহিলা শিক্ষকদের গ্রহণযোগ্যতা সেভাবে বাড়েনি। শিক্ষাক্ষেত্রে মহিলা কর্মীদের সংখ্যা কম হওয়ায় পুরুষদের প্রভাব বেড়েই চলেছে। চিন্তাধারণাকে আরও উদার করতে হবে। সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবেই লিঙ্গবৈষম্য দূর করা যাবে। আর নারীদের মর্যাদা দিতে এগিয়ে আসতে হবে পুরুষদেরই। এই বার্তাই দিচ্ছেন পুণের কলেজের ছাত্ররা।

[আরও পড়ুন: ভোলবদল নীতীশের! বিহারে ১৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে NPR]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ