Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিশ্বের শেষ তাসমানিয়ান বাঘের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আনল অস্ট্রেলিয়া

১৯৩৫ সালের রেকর্ড করা হয় ভিডিওটি।

Rare footage of last tasmanian tiger released online
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 20, 2020 3:51 pm
  • Updated:May 20, 2020 3:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির এক অপরূপ বিষ্ময় থাইলাসিন বা তাসমানিয়ান বাঘ। ডোরাকাটা এই বাঘসদৃশ্য প্রাণীটির অবলুপ্তি ঘটেছে বহু আগেই। প্রজাতির শেষ তাসমানিয়ান বাঘের নাম ছিল বেঞ্জামিন। তারই শেষ ভিডিওটি প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড সাউন্ড আর্কাইভ অফ অস্ট্রেলিয়া (NFSA)। তাসমানিয়া, নিউ গিনি এবং অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের এক অন্যতম বৃহত্তম মাংসপেশী প্রাণী ছিল এটি। গোটা বিশ্বে ‘তাসমানিয়ান বাঘ’ হিসাবেই এর পরিচিতি ছিল।

একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯৩৫ সালে গুলি করা হয় এই প্রজাতির শিবরাত্রির সলতে বেঞ্জামিনকে। ভিডিওটিতে বেঞ্জামিন নামের প্রাণীটি তাসমানিয়ার হোবার্টের বিউমারিস চিড়িয়াখানায় দেখা যায়। চিড়িয়াখানাটির অস্তিত্ব যদিও বর্তমানে নেই। এই তাসমানিয়ান বাঘ কেবলমাত্র দুটি জায়গায় ছিল। একটি অস্ট্রেলিয়ার এই চিড়িয়াখানায়। যেখানে ছবিটি তোলা হয়েছিল। অন্যটি লন্ডন চিড়িয়াখানা।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: রাস্তায় শুয়ে সঙ্গীদের সঙ্গে খুনসুটিতে ব্যস্ত পশুরাজ, স্তব্ধ যান চলাচল ]

৮৫ বছর আগের এই ২১ সেকেন্ডের ফুটেজটি বেঞ্জামিনের মৃত্যুর অল্প সময়ের আগেই চিত্রায়িত হয়েছিল। ৭ সেপ্টেম্বর এই ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়। এর এক বছর পর মারা গিয়েছিল বেঞ্জামিন। তার মৃত্যুর দিনটিকে এখনও অস্ট্রেলিয়ায় ‘ন্যাশনাল থ্রেটেনড স্পিসিস ডে’ হিসাবে পালন করা হয়। ‘তাসমানিয়া দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড’ নামে পরিচিত ভ্রমণপথ থেকে বেঞ্জামিনের ফুটেজটি সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি ১৯৩৫ সালের রেকর্ড করা। তাই সেটিকে ডিজিটালাইজ করা হয় এবং তারপর সংরক্ষণ করা হয়।

Advertisement

একদিন আগে টুইটারে এই ভিডিওট পোস্ট করা হয়। তারপর থেকে তাসমানিয়ান বাঘের ভিডিওটি ৮০ হাজারেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান জাদুঘরের তরফে জানানো হয়েছে, থাইলাইকাইনগুলি একসময় অস্ট্রেলিয়ায় বাস করত। তবে প্রায় ২ হাজার বছর আগে মূল ভূখণ্ড থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। তখন তাসমানিয়া দ্বীপে এই প্রজাতির দেখা পাওয়া যেত। সেখানেই সীমাবদ্ধ ছিল তাসমানিয়ান বাঘ। সম্ভবত কুকুরের প্রবর্তনের ফলে এই প্রজাতির বিলুপ্তি ত্বরান্বিত হয়। তবে এর বিলুপ্তির পিছনে অবশ্যই দায়ি মানুষ। তাদের অত্যাচারেই পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নেয় তাসমানিয়ান বাঘ।

[ আরও পড়ুন: মালা নয় মাস্ক বদল! সামাজিক দূরত্ব মেনে বিয়ে রাজস্থানের দম্পতির ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ