সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন ‘শোলে’র দৃশ্য। জলের ট্যাঙ্কের উপরে উঠে গিয়েছে বীরু। একটাই দাবি তাঁর। বাসন্তীকে বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলতে হবে। আর সম্পর্ক মেনে নিতে বাসন্তীর মাসিকেও। সিনেমা আর বাস্তবে খুব একটা পার্থক্য ছিল না তেলেঙ্গানার জগতিয়াল এলাকায়। পার্থক্য শুধু একটাই। বিয়ের প্রস্তাব নয় এখানে টাওয়ারের উপর উঠে স্ত্রীর কাছে বিচ্ছেদের আবদার জুড়লেন স্বামী।
[শপিং কার্ডের তথ্য হাতিয়ে প্রতারণা, পুলিশের জালে ২]
কীর্তিমানের নাম অজয় কুমার। তিনি আবার পেশায় ডাক্তার। বুধবার তিনি হঠাৎ স্থানীয় টেলিফোনের টাওয়ারে উঠে যান। সেখান থেকে একটি চিঠি নিচে ফেলে দেন। যাতে লেখা ছিল, স্ত্রী লাস্যের থেকে বিচ্ছেদ চাই তাঁর। কিন্তু স্ত্রী ডিভোর্স পেপারে সই করছেন না। তা না করলে টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন তিনি। এই খবরে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় লোক জমে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশের কাছে খবর পেয়ে আসেন অজয়ের স্ত্রীও। সকলে মিলে অজয়কে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কিছুতেই নেমে আসতে রাজি হননি চিকিৎসক। শেষে প্রায় চার ঘণ্টা বাদে ডিভোর্স পেপারে সই করতে রাজি হন লাস্য। তারপরই টাওয়ার থেকে নামতে রাজি হন অজয়।
(ভিডিও সৌজন্যে এএনআই নিউজ)
[আধারের গেরোয় মিলল না রেশন, অনাহারে মহিলার মৃত্যুতে নিন্দার ঝড়]
জানা গিয়েছে, প্রায় সাত বছর ধরে বিবাহিত অজয়-লাস্য। চার বছরের এক কন্যাও রয়েছে তাঁদের। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকে। কয়েকমাস আগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন লাস্য। পরে অবশ্য তা ফিরিয়ে নেন। এর জন্যই স্ত্রীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছেন বলে বলে জানান অজয়। ডিভোর্স পেপারে সই করে কান্নায় ভেঙে পড়েন লাস্য। স্বামীর এ কীর্তিতে হতবাক তেলেঙ্গানার বাসিন্দা।
[‘পাপ্পু’ বলা বারণ, জানেন এখন রাহুলকে বিজেপি নেতারা কী বলে ডাকছেন?]