সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব্বাই জানেন ২৯ ফেব্রুয়ারি চার বছরে একবার দেখা দেয়। এর জন্য যাদের ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্ম তারা জন্মদিন পালনের খানিকটা বিপাকে পড়েন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের বদলে তাদের অন্য রাস্তা নয়। তা বলে ৩০ ফেব্রুয়ারি কি কারও জন্মদিন হতে পারে। চোখের ভুল নয়, এটাই হয়েছে এক পাঞ্জাব যুবকের ক্ষেত্রে। তিনি ঠিকমতো পৃথিবীতে এলেও সরকারি আধিকারিকদের হাতযশে ৩০ ফেব্রুয়ারি ওই যুবকের জন্মদিন। অদ্ভুত তারিখের জন্য প্রতি পদে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে ওই যুবককে।
[ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরুকে ‘শহিদ’ মর্যাদা নয়, জানাল হাই কোর্ট]
হতভাগ্য যুবকের নাম হরপ্রীত সিং। লুধিয়ানার সিভিল সার্জেন অফিস থেকে তাঁকে এমন আজব বার্থ সার্টিফিকেট দেয়। সেখানে লেখা ছিল হরপ্রীত সিংয়ের জন্ম ৩০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫। ক্যালেন্ডারে এমন দিন কোনওভাবে সম্ভব নয়। লিপ ইয়ার হয় ২৯ দিনের। সেই হিসাবেও এক্ষেত্রে মেলেনি। শুধু তারিখের ভুল নয়, হরপ্রীতের জন্মদিনও সরকারি কর্মীদের বদান্যতায় ১০ দিন এগিয়ে এসেছে। তার প্রকৃত জন্মদিন ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫। অদ্ভুতভাবে যে সার্টিফিকেট তাঁকে দেওয়া হয়েছিল তার পুরোটা ছাপানো হলেও জন্মতারিখের জায়গটা হাতে লেখা হয়। এমনকী ওই শংসাপত্রে তিনজন সরকারি অফিসারের সই ছিল। একজন স্বাস্থ্য দপ্তরের, একটি পাঞ্জাব সরকারের এবং আর একটি সই জেলা রেজিস্ট্রারের।
[রূপানির গদি টলমল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে স্মৃতি ইরানি?]
আসলে জন্মের পর তাঁর বার্থ সার্টিফিকেট নেওয়ার তেমন প্রয়োজন পড়েনি। ২০১২ সালে মাঝপথে পড়াশোনা ছাড়েন হরপ্রীত। এর তিন বছর পর তিনি মুক্ত বিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণিতে পাশ করেন। কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণিতে বসার জন্য হরপ্রীতের বার্থ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। গত বছর অনেক আবেদনের পর এমন অদ্ভুত জন্মদিন সংবলিত জন্মের শংসাপত্র তিনি পান। আর এই বার্থ সার্টিফিকেটের গেরোয় তার পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন অফিস ঘোরাঘুরি করতে প্রস্তুতির বারোটা বেজেছে। সব দপ্তরই দায় এড়াচ্ছে। পাশাপাশি এই যুবক পাসপোর্ট বানাতে গিয়েও বিপাকে পড়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে হতাশ হয়ে হরপ্রীত বলেন, কেউ কিছু করছে না। এখানে তাঁর কি দোষ আছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হরপ্রীত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.