Advertisement
Advertisement

নেই ‌যানবাহন, জঙ্গলপথে ১৭ কিলোমিটার হেঁটেই স্কুলে যান কেরলের এই শিক্ষিকা

করোনা কালে অনলাইন ক্লাস যারা করতে পারছে না, তাদেরই পাশে 'দিদিমণি'।

ThisTeacher Of Kerala Walks 17 km Daily through Thick Forests to Reach Tribal School | Sangbad Pratidin‌‌
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:October 15, 2020 9:14 pm
  • Updated:October 15, 2020 9:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ করোনা (Covid-19) আবহে এখনও বন্ধ স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়। এই পরিস্থিতিতে ভরসা একমাত্র অনলাইন ক্লাস। কিন্তু ভারতের (India) মতো দেশে যেখানে একবেলা খাবারও অনেক সময় জোটে না, সেখানে সব পড়ুয়ার পক্ষে স্মার্টফোন জোগাড় করা অসম্ভবই বটে। আর তাই তো গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে এখনও রোজ স্কুলে যান কেরলের (Kerala) এক শিক্ষিকা।

না কোনও গাড়ি নয়। লকডাউনের কারণে এখনও পরিবহণ পরিষেবা ঠিকঠাক না হওয়ায় রোজ ১৭ কিলোমিটার হাঁটেন কেরলের মালাপ্পুরম জেলার বাসিন্দা মিনি কোরমান। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যিই। এই খবর সামনে আসতেই কেরলের ওই শিক্ষিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোশ্যাল মিডিয়া।

Advertisement

[আরও পড়ুন:‌ ‌দুই ব্যক্তির বিবাদ মেটাতে মোষকেই মালিক খোঁজার দায়িত্ব দিল যোগীর পুলিশ]

জানা গিয়েছে, ৪৪ বছর মিনি আগামবাদাম থেকে আম্বুমালা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটেই যান। বাকি এক কিলোমিটার রাস্তা পাহাড় চড়তে হয় তাঁকে। বেশিরভাগ রাস্তাই যেহেতু ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে, মাঝেমধ্যে বন্যপ্রাণীদের দেখাও পান তিনি। কিন্তু ভয়ে পিছিয়ে আসেননি কখনও। তবে যেহেতু মাঝে আবার একটি নদীও পেরতে হয়, তাই বর্ষকালে অনেকসময় স্কুলেই থেকে যান তিনি। কারণ, ওই সময় নদীর জল অনেক বেশি থাকে এবং পারাপারের বাঁশের সাঁকো এর আগে অনেকবার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। লকডাউনের আগে তাও কিছুটা রাস্তা বাসে যেতে পারতেন। বর্তমানে সেই বাস পরিষেবাও বন্ধ। আর তাই পায়ে হাঁটাই ভরসা।

Advertisement

[আরও পড়ুন:‌ দস্যি মেয়ে! জন্মেই টেনে খুলে দিল চিকিৎসকের মাস্ক, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল একরত্তির কীর্তি]

এই প্রসঙ্গে মিনি জানান, ২০১৫ সাল থেকে চুক্তিভিত্তিক এই শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন। করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতির পূর্বে সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে পড়ুয়ারা। কারণ অনলাইন ক্লাস কেনার জন্য স্মার্টফোনের দরকার। যা কেনার ক্ষমতা ওই গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই নেই। আর তাই ফের স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে এভাবেই কষ্ট করে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাঁকে। তবে এতে যে কোনও অসুবিধা নেই, তাও জানান মিনি। কারণ ছোট থেকেই দূরের স্কুল–কলেজে পড়াশোনা করায় এতটা পথ হাঁটার অভ্যেস রয়েছে তাঁর। আপাতত এই শিক্ষিকার প্রশংসায় রীতিমতো পঞ্চমুখ সোশ্যাল মিডিয়া।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ