Advertisement
Advertisement

Breaking News

Canada

টানা ৩ ঘণ্টা বন্ধ হৃদস্পন্দন! ‘মৃত’ শিশুর প্রাণ ফিরিয়ে অসাধ্য সাধন কানাডায়

একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী পালা করে CPR দেন শিশুকে।

Toddler's Heart Stopped For Three Hours and A Team Effort Of Medics Saved Him | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:February 23, 2023 10:12 am
  • Updated:February 23, 2023 10:12 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রেশে ছিল একরত্তি। বয়স মোটে ১ বছর ৮ মাস মোটে। ক্রেশেরই সুইমিংপুলে পড়ে যায় সকলের অলক্ষ্যে। প্রবল ঠান্ডা জলে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ঢুবে ছিল। উদ্ধারকারী দল যখন তাকে জল থেকে তোলে, ততক্ষণে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। বন্ধ হৃদস্পন্দন। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছিল না প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। ওই অবস্থায় চিকিৎসক ও নার্সরা অবিশ্বাস্য কাজ করেন। একটানা ৩ ঘণ্টা সিপিআর (মুখ দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানো) দেওয়া হয় শিশুটিকে। ওই দীর্ঘ সময়ে বন্ধ ছিল শিশুটির হার্ট। আবিশ্বাস্যভাবে ৩ ঘণ্টা পর কাজ করা শুরু করে একরত্তির হৃদযন্ত্র। এই ঘটনায় উদ্ধারকারী দল, চিকিৎসক-সহ হাসপাতালের কর্মীদের কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব।

ঘটনাটি কানাডার (Canada) দক্ষিণ-পশ্চিম অন্টারিওর। ২৪ জানুয়ারি দুর্ঘটনা ঘটে। ‘ডে কেয়ারে’র সুইমিংপুলে পড়ে যায় ২০ মাস বয়সের ওয়েলন সন্ডার্স। তখন এলাকায় তাপমাত্র ছিল মাইনাসের নিচে। পাঁচ মিনিট ভয়ংকর ঠান্ডা জলে পড়েছিল শিশুটি। দমকলকর্মীরা উদ্ধার করে তাকে। দ্রুত শার্লট এলেনর এঙ্গেলহার্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সেখানে ছিল না উপযুক্ত ব্যবস্থা। এদিকে শিশুর হাত-পা তখন ঠান্ডা, বন্ধ হৃদস্পন্দন। এই অবস্থায় শিশুটিকে সিপিআর দিতে থাকেন চিকিৎসক এবং নার্সরা। একটানা ৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল শিশুর হার্ট। তারপরেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় পালা করে সিপিআর দিতে থাকায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গর্ভবতীকে বাঁশের ঝোলায় চাপিয়ে ৩ কিমি দূরের হাসপাতালে আত্মীয়রা, মৃত্যু সদ্যোজাতর]

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধারকারী দল হাসপাতালের পৌঁছানোর আগেই স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি ছিলেন। এর পরই পালা করে সিপিআর চলে। ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় অসাধ্য সাধন হয়। কাজ করে শুরু করে শিশুর হৃদয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ৬ হাজার ‘পাটোয়ারি’ পদে আবেদন ১২ লক্ষের, প্রার্থীরা কেউ ডক্টরেট, কেউ ইঞ্জিনিয়ার]

শার্লট এলেনর এঙ্গেলহার্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ টেলর বলেন, “আগেই রুম হিটারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সকলে একরত্তি বাঁচানোর চেষ্টা লেগে পড়ে। এটা দলগত প্রচেষ্টার জয়।” ৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় ওয়েলন সন্ডার্সকে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে সে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ