সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি থেকে অমানবিকতা, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সেই পুলিশই যে আইনশৃঙ্খলার মেরুদণ্ড, তা উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল। বিয়ের ক’দিন আগে ডাকাতদের হাতে খুন হয়েছিলেন কনের দাদা। বিয়ের জন্য সঞ্চিত অর্থও লুট হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল পাত্রপক্ষ। তখনই পাশে দাঁড়াল যোগীরাজ্যের পুলিশ। টাকা-গয়নার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দায়িত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে তরুণীর বিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার এবং তাঁর স্ত্রী।
ঘটনাটি রাজ্যের গোন্ডা জেলার। এপ্রিল মাসের শেষে বছর পঁচিশের তরুণী উদয় কুমারীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত বিয়ের ঠিক দু’দিন আগে গত ২৪ এপ্রিল কনের দাদা শিবদিন ডাকাতদলের হাতে খুন হন। বিয়ের জন্য সঞ্চিত অর্থও নিয়ে যায় ডাকাত দল। আচমকা বিপর্যয়ে কনেপক্ষের পাশে দাঁড়ান গোন্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) বিনীত জওসওয়াল এবং তাঁর স্ত্রী তন্বী জয়সওয়াল। কনের দাদা খুন হয়ে যাওয়ার পর শঙ্কিত পাত্রপক্ষকে বিয়েতে রাজি করান তাঁরা। এছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে নগদ ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা, গয়না এবং আসবাবের ব্যবস্থা করেন।
শিবদিনের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা পরিবার চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল, কীভাবে মেয়ের বিয়ে হবে! যদিও সবটাই সম্পন্ন হল সুষ্ঠু ভাবে। কারণ, কেবল অর্থ দিয়ে নয়, দাঁড়িয়ে থেকে উদয় কুমারীর বিয়ে দিলেন গোন্ডার পুলিশ সুপার এবং তাঁর স্ত্রী। পাত্রপক্ষকে আপ্যায়ন করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের দু’জনকে। বিয়ের একাধিক উপাচারেও অংশ নেন পুলিশকর্মীরা। উল্লেখ্য, যে ডাকাতদলের হাতে খুন হন কনের দাদা, সেই দলের প্রধান জ্ঞানচাঁদ গত ৯ মে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.