মানহানির মামলায় ২ বছরের জেল হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাংসদ পদও বাতিল করেছে লোকসভার সচিবালয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার বিরোধী কন্ঠস্বর রোধ করতে মরিয়া। কেউ কেউ এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের হত্যা বলেও তোপ দাগছে। বিজেপির সাফাই, সবটাই হচ্ছে আইন মেনে।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক হেভিওয়েট নেতা এই একইভাবে সাংসদ পদ খুইয়েছেন। তালিকায় আছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও।
এই তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম লালুপ্রসাদ যাদব। ২০১৩ সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সাংসদ পদ বাতিল হয় লালুর। ৬ বছর ভোটেও লড়তে পারেননি তিনি।
এই তালিকায় আরও এক হেভিওয়েট জয়জলিতা। AIADMK নেত্রীকে ২০১৪ সালে আয়ের অধিক সম্পত্তি মামলায় ৪ বছরের সাজা শোনানো হয়। যার জেরে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদও ছাড়তে হয়েছিল।
২০১৯ সালের ঘৃণাভাষণ মামলায় ৩ বছরের জন্য কারাদণ্ডের শাস্তি পেয়েছেন সমাজবাদী পার্টি নেতা আজম খান। তাঁকে চলতি বছরই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্যপদ ছাড়তে হয়েছে।
মুজফফরনগর দাঙ্গা মামলায় অন্যতম দোষী বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সিং সাইনি। তাঁরও ২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। যার জেরে সাইনিকেও ছাড়তে হয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্যপদ।
উন্নাও ধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ কুলদীপ সেঙ্গার এখন জেলে। ২০২০ সালে তাঁকেও ছাড়তে হয় বিধায়ক পদ।
তালিকায় শেষ নাম বিহারের বাহুবলী নেতা অনন্ত সিং। আরজেডি বিধায়ককে অস্ত্র আইনে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। ২০২২ সালে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.