ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয় দুই ‘বন্ধু’র।
প্রায় চারঘণ্টার বৈঠক দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ৫০০ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অসামরিক পরমাণু চুক্তি-এমন গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংকট চলছে, সেই বিষয়টিও উঠে আসে দুদেশের প্রধানের বৈঠকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দেন, হাসিনার পতনের নেপথ্যে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিলই না। বরং গোটা বিষয়টি মোদির উপরে ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
বৈঠক চলাকালীন সম্মান জানানোর নিদর্শন হিসাবে মোদির জন্য নিজে চেয়ার টেনে সরিয়ে দেন ট্রাম্প। আমেরিকা থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করবে ভারত, এই মর্মে একটি চুক্তিও সই করেন মোদি এবং ট্রাম্প।
মার্কিন মুলুক থেকে প্রত্যেক বেআইনি অনুপ্রবেশকারী নাগরিককে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে তাঁর বার্তা, বেআইনিভাবে প্রবেশ করে বিশ্বের কোনও দেশেই থাকার অধিকার নেই।
কেবল ভারত নয়, একাধিক দেশের উপর চড়া শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প। মোদির সঙ্গে বৈঠকেও সেই অবস্থানে অনড় থাকলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে দর কষাকষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মোদিকে জড়িয়ে ধরেন। পরে করমর্দনের সময় বলেন, “তোমাকে মিস করেছি, প্রচণ্ড মিস করেছি।”
মোদি হোয়াইট হাউসে পৌঁছনোর পর তাঁকে একটি উপহারও দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন মুলুকে ‘হাউডি মোদি’ এবং ভারতে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের সময়ে যেসমস্ত ছবি তোলা হয়েছিল, সেই ছবি সংবলিত একটি বই উপহার হিসাবে পেয়েছেন মোদি।
দুদিনের সফর শেষে ভারতে ফেরার বিমান ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। ট্রাম্পের চাপানো শুল্কের চাপ কমাতে কি ভারতে মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমানোর কথা ভাববেন তিনি?
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.