আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা এক পলকে ওলট-পালট করে দিয়েছে সবকিছু। বৃহস্পতিবারের অভিশপ্ত দুপুর কেড়ে নিয়েছে ২৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ। মৃতের তালিকায় রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও। তবে এই ঘটনা প্রথমবার নয়, এর আগেও বহু ভারতীয় রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়েছে আকাশ দুর্ঘটনায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তালিকা।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র সঞ্জয় গান্ধী। ১৯৮০ সালের ২৩শে জুন বিমানে কসরত দেখানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর নয়া ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভে আছড়ে পড়ে তাঁর বিমান। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্যাপ্টেন সুভাষ সাক্সেনার।
কংগ্রেসের দাপুটে রাজনীতিবিদ তথা কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমানপরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন মাধবরাও সিন্ধিয়া। ২০০১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কানপুরে এক নির্বাচনী সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। ১০ আসনবিশিষ্ট এই চাটার্ড বিমান উত্তরপ্রদেশের মৌনপুরী এলাকায় খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। মৃত্যু হয় মাধবরাওয়ের।
লোকসভার অধ্যক্ষ তথা তেলেগু তেলেগু দেশম পার্টির নেতা জিএমসি বালাযোগী। ২০০২ সালের ৩ মার্চ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। পশ্চিম গোদাবরী জেলার ভীমাবরম থেকে হেলিকপ্টারে আসার সময় অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় একটি পুকুরে আছড়ে পড়ে সেটি। মৃত্যু হয় ওই রাজনৈতিক নেতার।
সাইপ্রিয়ান সাংমা: মেঘালয়ের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সাইপ্রিয়ান সাংমা। ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পবন হংস নামক হেলিকপ্টারে গুয়াহাটি থেকে শিলং যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আরও ৯ জন। শিলং থেকে ২০ কিমি দূরে বড়পানি হ্রদের কাছে আছড়ে পড়ে তাঁর কপ্টার।
হরিয়ানার প্রবীণ এই রাজনৈতিক নেতার মৃত্যু হয় ২০০৫ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়। দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় কপ্টারটি। জিন্দালের সঙ্গে মৃত্যু হয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংয়ের।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খান্ডুর। তাওয়াং থেকে ইটানগরে যাচ্ছিলেন খান্ডু। পথে পশ্চিম কামেং জেলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর কপ্টার।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল আরও এক মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির। ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর নিজের বেল ৪৩০ কপ্টার নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন রেড্ডি। পথে নাল্লামালার জঙ্গলে ভেঙে পড়ে তাঁর কপ্টার।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.