Advertisement
Advertisement

Breaking News

মোড়কবন্দি সুখে কতটা সুখী মানুষ? পুজোয় উত্তরের খোঁজে ৬৪ পল্লি

থিমমেকার রূপক বসুর হাতে সেজে উঠছে মণ্ডপ।

Pujo 2018: Branding will be shown at 64 pally in this Durga Puja
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 4, 2018 1:07 pm
  • Updated:October 4, 2018 1:07 pm

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন ৬৪ পল্লির পুজোর প্রস্তুতি৷

রোহন দে: কালের চাকায় সওয়ার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সভ্যতা। বর্তমানে মানুষের সব সুখ মোড়কে বন্দি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে নিজস্বতা, আদান-প্রদান, বিকিকিনি, বিজ্ঞাপনের ভাষা-ভঙ্গি এবং মোড়কের ব্যবহার। তথাকথিত কর্পোরেট যুগের হাওয়ায় এখন বিজ্ঞাপনের ব্র্যান্ডিংয়ের পিছনেই দৌড়চ্ছে মানুষ। এমনকী নিজেকেও ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর প্রত্যেকে। বিশ্বায়নের যুগে ব্র্যান্ড ছাড়া মানুষ যেন অচল। আর সেই ব্র্যান্ডের মোড়কবন্দি সুখের এক মহামায়ার জগতকেই এবার থিমের মাধ্যমে তুলে ধরতে চলেছে দক্ষিণের এই নামী পুজো। ৭০তম বর্ষে ৬৪ পল্লির পুজোর এবারের থিম- ‘মহামায়া, মোড়কবন্দি সুখ’।

Advertisement

Advertisement

[এবার পুজোয় শহরেই আন্দামান, জারোয়াদের ঠিকানা কলকাতা ৮]

থিমমেকার রূপক বসুর হাতে সেজে উঠছে গোটা মণ্ডপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুগ বদলেছে আর তাঁর সঙ্গে বদলেছে কেনাবেচার ধরনও। চাহিদার পিছনে অনবরত ছুটছে মানুষ। ফেরিওয়ালার ডাক শুনে একসময় মানুষ পণ্য কেনাবেচায় অভ্যস্ত ছিল। ফেরিওয়ালারাই দৈনন্দিন চাহিদা অনুযায়ী জিনিস পৌঁছে দিত ক্রেতাদের ঘরে। কর্পোরেট যুগে যা আজ প্রায় হারিয়েই গিয়েছে। সেই ফেরিওয়ালার ডাকই আজ বদলে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে হয়েছে জিঙ্গল। এই বিষয়টিই গোটা মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলছেন তিনি। একসময় ব্র্যান্ডকে কলঙ্ক চিহ্নরূপে ধরা হলেও আজ তা পণ্যের গুণমান চিহ্নরূপে বিবেচিত হয়। মণ্ডপকে ৬টি পর্যায়ে সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী। বিভিন্ন পর্যায়ে ব্র্যান্ডিংয়ের নানা ধাপ তিনি তুলে ধরবেন দর্শনার্থীদের সামনে।

মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রতিমা গড়ছেন শিল্পী ভবতোষ সুতার। এখানে প্রতিমাকে নিরপেক্ষ হিসেবে দেখানো হবে। তাঁর গায়ে কোনও ব্র্যান্ডের ছাপ পড়েনি। গোটা বিষয় ভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এখানে রাজীব চক্রবর্ত্তীর কথায় আবহ সঙ্গীত করছেন আশু চক্রবর্তী। থিমের গল্পটি মণ্ডপে ছড়ার আকারে শোনা যাবে শিল্পী মীরের কণ্ঠে। গোটা মণ্ডপকে আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তুলছেন প্রেমেন্দুবিকাশ চাকী।

[মায়ের কাছে মুক্তি চাইছে ‘গণশা’, দমদম পার্ক তরুণ সংঘে এবার অন্য পুজো]

গতবছর এই রূপক বসুর সৃজনে মানব সভ্যতার বিকাশের সেই ক্রমপর্যায়কে থিম করে সেজে উঠেছিল ৬৪ পল্লি। এবারও ফের রূপক বসুর সৃজন ফুটে উঠবে এই জনপ্রিয় মণ্ডপে। গতবারের নান্দনিকতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে। এই ভাবনা পুজোপ্রেমীদের কতটা মনে ধরে এখন তাই দেখার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ