পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন অজেয় সংহতির পুজো প্রস্তুতি৷
রোহন দে: বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে অস্তিত্ব সংকটে সবুজায়নের। ইট-কাঠ-কংক্রিটের জঙ্গলের বাঁধনে হাসফাঁস অবস্থা মানুষের। শহরে দূষণের ফলে মানুষ আজ স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গিয়েছে। পঞ্চভূতের একটা উপাদান বায়ু, আমাদের আয়ুষ্কালের মাঝেও ‘হাওয়া’-গাড়ির চলা। দর্শনার্থীদের খোলা হাওয়ায় বিচরণ করার প্রয়াসই এবার হরিদেবপুর অজেয় সংহতির। ৫৮ তম বর্ষে দক্ষিণের এই নামী পুজোর এবছরের থিম ‘খোলা হাওয়া’।
[নস্ট্যালজিয়া উসকে হারিয়ে যাওয়া বারান্দা ফিরছে কাশী বোস লেনের পুজোয়]
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সামগ্রী দিয়েই মণ্ডপে খোলা হাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছেন এ শহরের বিখ্যাত শিল্পী প্রদীপ দাস। আর বিষয়বস্তুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই থিমের নাম রেখেছেন ‘খোলা হাওয়া’। নিত্য প্রয়োজনীয় গ্যাস সিলিন্ডার, হাওয়ার কল, লোহা, কাঠ রংই মণ্ডপসজ্জার মূল উপাদান। হাওয়া ছাড়া বিশ্বজগতে কেউই চলতে পারে না। একটা পাখির উড়ানেও যেমন দরকার বাতাস তেমনি একইভাবে আকাশ পথে ওড়ে বিমান। তাই পাখি থেকে শুরু করে মেঘ কিংবা খোলা জানলা সবই গোটা মণ্ডপে বিরাজমান। হাওয়া যানের বিভিন্ন শিল্পকর্মেই সেজে উঠছে গোটা মণ্ডপ। হাওয়ার সঙ্গে লোহার বিরোধ থাকলেও অজেয় সংহতির মণ্ডপে লোহাকে কাজে লাগিয়েই অনবদ্য শিল্পকর্মের চমক দিয়েছেন শিল্পী। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করছেন পিন্টু শিকদার। আর গোটা থিমকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিতে চলেছে কবিতা কানেকশনের থিম মিউজিক। মণ্ডপের আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আলো। মণ্ডপকে আকর্ষণীয় করে তোলার গুরু দায়িত্ব আলোক শিল্পী প্রেমেন্দু বিকাশ চাকীর কাঁধে। আলো-আঁধারির মায়াবী খেলাতেই জীবন্ত হয়ে উঠবে মণ্ডপ। আলোর রকমারি ব্যবহারেই খোলা হাওয়ার স্বপ্নালোকে পৌঁছে যাবেন দর্শনার্থীরা।
[এই ক্লাবে এবার রূপান্তরকামীর ছোঁয়ায় মা দুর্গার চক্ষুদান]
উদ্যোক্তাদের আশা, হরিদেবপুর অজেয় সংহতির খোলা হাওয়ার জগতে এসে মুগ্ধ হবেন দর্শনার্থীরা। যার স্মৃতি দীর্ঘদিন তাঁদের মনের মণিকোঠায় রয়ে যাবে। দর্শনার্থীদের ভিড় যেমন থাকবে তেমনি পুরস্কারেও ভরে উঠবে ক্লাব প্রাঙ্গন।