Advertisement
Advertisement
Tarapith corona pandemic

করোনার থাবায় চেনা ছবিতে বদল, তারামায়ের আবির্ভাব তিথিতেও তারাপীঠে নেই ভক্তের ভিড়

কোভিড বিধি মেনেই তারামায়ের আবির্ভাব তিথিতে বিশেষ পুজোপাঠের আয়োজন করা হয়।

Devotes avoid Tarapith due to corona pandemic ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 30, 2020 5:51 pm
  • Updated:October 30, 2020 5:51 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: তারাপীঠের (Tarapith) গর্ভগৃহের বাইরে শুক্রবার মায়ের অধিষ্ঠান হল বিরাম মন্দিরে। এদিন ছিল তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস। অন্যান্য বছর মার কাছে যেতে উপচে পড়া ভিড় জমান ভক্তরা। কিন্তু করোনা আবহে তারা মায়ের আবির্ভাব দিবসে ভক্তদের ভিড়ে ভাটা। যদিও স্থানীয়রা প্রতিবারের মতো ভিড় জমিয়েছিলেন বিরাম মন্দির ঘিরে। তবে ভিড় কম হলেও চিরাচরিত রীতি মেনে এদিন পুজো হয়েছে তারা মায়ের। উপবাস ব্রত পালন করেছেন সেবাইত থেকে ভক্ত সকলেই।
 
তারাপীঠে উত্তর বাহিনী দ্বারকা নদ। সেদিকেই উত্তর মুখে সারাবছর অধিষ্ঠিত থাকেন তারা মা। কিন্তু চতুর্দশীর দিন মা তারা মন্দির থেকে বেরিয়ে বিরাম মন্দিরে গিয়ে বিশ্রাম নেন। ভক্তদের বিশ্বাস, তারা মায়ের বোন মলুটি গ্রামের মৌলিক্ষা মায়ের সঙ্গে এদিন কথা বলেন। তাছাড়া পশ্চিম মুখে তারাপীঠ মহাশ্মশান। তাই সেই মুখ করে শুক্রবার সকালে অধিষ্ঠিত হন তারা মা। কথিত আছে, পুরাকালে রাজা জয় দত্তের নৌকা তারাপীঠের শ্মশান ঘাটে ভেড়ে। সেই সময় সর্পাঘাতে তাঁর একমাত্র সন্তানের মৃত্যু ঘটে। তারপর তারাপীঠের জীবিত কুণ্ডের জল ছিটিয়ে তার প্রাণ ফেরে। সেই কাহিনী আজও ভক্তদের মুখে ফেরে। তারপর মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে শ্বেত শিমুলের নিচে ব্রহ্ম শীলাকে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। সেই সময় মহুলার ভৈরব চট্টোপাধ্যায় মায়ের পুজো করেন।তাই আজও আবির্ভাব দিবস হিসাবে বিশেষ পুজো করেন ভক্তরা।

[আরও পড়ুন: জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি চান? লক্ষ্মীপুজোয় এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না]

চলতি বছর করোনার কারণে বিরাম মন্দিরের ন’টি গেটই খুলে রাখা হয়। অনান্যবার ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি গেট খুলে রাখা হয়। মাস্ক ছাড়া কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে মন্দির চত্বরে বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করে তান্ত্রিকেরা। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, এদিন সূর্যোদয়ের পর গর্ভগৃহ থেকে মাকে বিরাম মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। সকালে ফলমূল সহযোগে প্রসাদ দেওয়া হয়। দুপুরে মাকে অন্নের ভোগ দেওয়া হয় না। মা উপবাসী থাকেন। তারপর রাতে অন্নের ভোগ হয়। মায়ের উপবাসের কারণে সেবায়েতরাও উপবাসী থাকেন।  সেবাইত পুলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এবার করোনা আবহে ভক্ত সমাগম তুলনামূলকভাবে কম। মন্দিরের আশেপাশের কিছু এলাকা থেকে ছোট গাড়ি করে ভক্তরা এসেছেন। প্রায় সাড়ে তিনশো হোটেল বন্ধ। ট্রেন চলাচল না করলে মুখ থুবড়ে পড়া তারাপীঠ পর্যটন শিল্প কেন্দ্র উঠে দাঁড়াবে না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঐতিহ্য রক্ষাই শেষ কথা, করোনা কালেও কমছে না চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীর উচ্চতা]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ