৪ আশ্বিন  ১৪৩০  শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ঐশ্বরিক ক্ষমতা! একটু একটু করে বাড়ে এই মন্দিরের নন্দীর পাথরের মূর্তি

Published by: Sulaya Singha |    Posted: December 21, 2019 8:30 pm|    Updated: December 21, 2019 9:35 pm

Idol of Nandi of Yaganti Teample in Andhra Pradesh, grows year after year!

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। এ দেশের আনাচে-কানাচে অনেক মন্দির রয়েছে যেখানে আজও এমন ঈশ্বরিক ঘটনা ঘটে থাকে, যা ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেসব বিষয় আজও তর্কের অতীত। ঠিক তেমনই একটি ধর্মস্থান হল অন্ধ্রপ্রদেশের যগন্তী উমা মহেশ্বরা মন্দির। এই মন্দিরের মধ্যে অবস্থিত নন্দীর পাথরের মূর্তিটি নাকি প্রত্যেক বছর একটু একটু করে আয়তনে বেড়ে ওঠে!

অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলায় অবস্থিত শিবের মন্দিরটি মাহাত্ম মুখে মুখেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ এখানে ভিড় জমান প্রাচীন এই মন্দিরের সৌন্দর্য এবং সেই ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন নন্দীর দর্শন করতে। স্থানীয়দের মতে, বছর পঞ্চাশ আগে নন্দীর যে আয়তন ছিল, বর্তমানে তার চেয়ে অনেকটাই বড়। তাঁদের বিশ্বাস, কোনও এক দৈবিক ক্ষমতাতেই বাড়তে থাকে নন্দী। আর সেই কারণেই একে জাগ্রত বলে পুজো করে থাকেন দর্শনার্থীরা।

 

[আরও পড়ুন: ধ্যানস্থ শিবের মূর্তি ঘিরে গড়ে উঠল হিন্দুদের পঞ্চম ধাম, কোথায় জানেন?]

বিশ্বাসের সঙ্গে বাস্তবের সত্যিই কোনও সামঞ্জস্য রয়েছে কি না, তা দেখতে নন্দীর মূর্তিটি পরীক্ষা করেছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)। তারা জানায়, যে পাথরটি খোদাই করে নন্দীর মূর্তিটি তৈরি হয়েছে, সেই পাথর স্বভাবজাতভাবেই আয়তনে বাড়ে। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, গত কুড়ি বছরে মূর্তিটি সত্যিই আকারে এক ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে। নন্দী বেড়ে ওঠে বলে মূর্তি লাগোয়া একটি পাথরের স্তম্ভ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে দর্শনার্থীদের পুজো দেওয়ার সময় নন্দীর চারিদিকে প্রদক্ষীণ করতেও সুবিধা হয়। জনৈক ঋষির মতে, এই কলি যুগেই নাকি মূর্তিটি জীবন্ত হয়ে উঠবে।

yaganti temple

এই মন্দিরের আরও একটি অবাক করা বিষয় হল এ চত্বরে কোনও কাক দেখা যায় না। কথিত আছে, ঋষি অগস্ত একবার প্রায়শ্চিত্ত করছিলেন। সেই সময় তাঁকে কাকের দল তাঁকে বিরক্ত করেছিল। সেই সময় ঋষি অভিশাপ দিয়েছিলেন, মন্দির চত্বরে আর কখনও কাকেরা প্রবেশ করতে পারবে না। মন্দিরের ভিতরে পুষ্করিণীতে আবার সারা বছরই জল থাকে। মনে করা হয়, নন্দির মুখ থেকেই নাকি এই জল নির্গত হয় এবং বছরভর ধারাবাহিকভাবে বয়ে যায়। এই মন্দিরের এক প্রান্তেই রয়েছে অগস্ত গুহা। স্থানীয়দের মতে, এখানেই নাকি শিবের আরাধনায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন ঋষি। তবে নন্দীর বেড়ে ওঠাই সবচেয়ে বেশি অবাক করে দর্শনার্থীদের।

[আরও পড়ুন: শনির দশা-আর্থিক সংকট কাটাতে চান? প্রতি শনিবার এই গাছের নিচে রাখুন কালো তিল]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে