সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ বলেন ঈশ্বরপুত্র। কেউ মসিহ। খ্রিস্ট ধর্মের তিনিই এক এবং অদ্বিতীয়। যিশু খ্রিস্ট মানেই ত্যাগের প্রতীক। তাঁর কাছেই মনের কথা খুলে বলেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। তবে ঈশ্বরের এই পুত্রকেও যৌন হেনস্তার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল। এমনই দাবি করেছেন শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তথা শিক্ষাবিদ ডা. কেটি এডওয়ার্ড।
[OMG! তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন বিজয় মালিয়া!]
ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন কেটি। সেখানেই এই দাবি করেছেন তিনি। প্রবন্ধের শিরোনাম #HimToo। যেখানে কেটি দাবি করেছেন যিশু খ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করার সময় তাঁর পোশাকও ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। যেভাবে তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল তা যৌন হেনস্তার পর্যায়েই পড়ে। সাম্প্রতিককালে হলিউডে যে #MeToo বিপ্লব হচ্ছে তার সঙ্গে এই ঘটনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ জন্যই চার্চগুলিরও যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে মুখর হওয়া উচিত বলে মনে করেন কেটি। তাঁর মতে, সাধারণত যৌন হেনস্তার মতো ঘটনাগুলি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতা থাকে মানুষের মধ্যে। কিন্তু #MeToo-র মতো প্রতিবাদের পথ মানুষকে সুযোগ করে দেয়, তাঁদের সাহস জোগায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার। এই প্রতিবাদে যদি চার্চের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিও শামিল হয় তাহলে প্রতিবাদের জোর আরও বাড়বে বলেই মনে করেন শিক্ষাবিদ।
[সঞ্চালিকার ভূমিকায় রূপান্তরকামী, পাক চ্যানেলের পদক্ষেপে প্রশংসা]
কেটির এই দাবিতে সারা বিশ্বের শিক্ষামহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই কেটির বিরোধিতা করেছেন। ইউনিভারসিটি অফ আবার্টির সোশিওলজি বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক ডা. স্টুয়ার্ট ওয়েটন বিষয়টিকে হাস্যকর আখ্যা দিয়েছেন। তিনি এমন অদ্ভুত যুক্তিকে ইতিহাস বিকৃতির পর্যায় ফেলেছেন। তবে নিজের তথ্যের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে কেটির। তাঁর মতে তৎকালীন রোমান শাসকরা অত্যাচারের প্রতীক। তাঁরা গারদে বন্দিদের যৌন নিগ্রহ করতেন। যিশু খ্রিস্টের সম্পর্কে অনেক ভাল কথা বলা যেতেই পারে। তবে সত্য যতই কঠিন হোক না কেন তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
[‘রানি’র পাশেই ‘আঙ্কল স্যাম’, মার্কিন মুলুক থেকে বিতাড়িত ৬০ রুশ কূটনীতিবিদ]