ধীমান রায়, কাটোয়া: দুর্গা পুজো শেষ হতেই চন্দননগর মেতে ওঠে জগদ্ধাত্রীর আরাধনায়। আলোয় সেজে ওঠে গোটা নগরী। সেই পালাও চলতি বছরের মতো শেষ। এবার নজরে কাটোয়ার কার্তিক পুজো। যার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ কার্তিকের লড়াই। কিন্তু কীভাবে শুরু হল এই প্রথা ?
[OMG! ১৮৬০ সালেও ব্যবহৃত হত স্মার্টফোন!]
বারবিলাসিনীদের কার্তিক পুজো আর এককালে শহুরে জমিদারবাবুদের মধ্যে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা থেকেই কাটোয়ায় কার্তিক লড়াইয়ের পরম্পরা শুরু। ভাগীরথীর তীরবর্তী কাটোয়া শহর ও তার আশপাশের এলাকায় আজও ধুমধাম করে কার্তিক পুজো হয়। স্থানীয় ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মঙ্গলকোটের প্রত্নক্ষেত্র থেকে যে কার্তিক মূর্তির অস্তিত্ব মিলেছে তা গুপ্তযুগের নির্দশন। অর্থাৎ বহু আগে থেকেই চলছে দেবসেনাপতির আরাধনা।
কাটোয়ার গঙ্গাতীরে বর্তমান হরিসভাপাড়ার আগে নাম ছিল চুনুরিপাড়া। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই পাড়াতেই গড়ে উঠেছিল বারবনিতাদের পল্লি। তাঁদের আশ্রয়দাতা ছিলেন তখনকার জমিদার, বাবু ও বণিকরা। চুনুরিপাড়ার বারবনিতারা মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার আশায় শুরু করছিল ন্যাংটো কার্তিকের পুজো। সন্তানের আশায় এখনও যে শিশুকার্তিকের পুজো করার রীতি রয়েছে। কাটোয়া শহরে এখনও ন্যাংটো কার্তিকের পুজোর চল রয়েছে। এই পুজোকে কেন্দ্র করেই জমিদারদের ও বণিকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হত। কালক্রমে সেই প্রতিযোগিতাই কার্তিক লড়াই নামে সুপরিচিত হয়ে ওঠে।
কাটোয়ার কার্তিক লড়াই আজও এক ঐতিহ্য। কাটোয়ায় ও পানুহাট মিলে প্রায় দেড়শো বারোয়ারি পুজো হয়। থিম ও আলোকসজ্বায় একে অপরের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে।
পুজোর পরদিন শোভাযাত্রা বের হয়। প্রায় ৯০টি কমিটি একসঙ্গে শোভাযাত্রা করে। শোভাযাত্রা শেষে যে যাঁর মণ্ডপে আবার প্রতিমা নিয়ে চলে যায়। পরে নিজের নিজের সুবিধা অনুযায়ী বিসর্জন করে।
ছবি জয়ন্ত দাস
[অমানবিক! অসুস্থ বাবাকে ঘরে আটকে রেখে ভ্রমণে পুত্র ও পুত্রবধূ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.