সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে তেত্রিশ কোটি দেবতাদের মধ্যে সর্বাগ্রে পূজিত হন গণেশ (Ganesh Puja)। যিনি বিঘ্নহর্তা নামেও পরিচিত। অর্থাৎ সমস্ত সমস্যা, বাধা দূর করতে সিদ্ধিদাতার পুজো করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। তাই তো বিয়ের কার্ডেও গণেশের উপস্থিতিকে শুভ বলেই বিশ্বাস করেন তাঁরা। তবে জানেন কি, ঠিক কোন জিনিসগুলি দিয়ে পুজো করলে তুষ্ট হন বিনায়ক?
জবা ফুল এবং দূর্বা যেমন গণেশ পুজোতে ব্যবহৃত হয়, তেমনই সিদ্ধিদাতার পুজোয় লাগে মোদক। মনে করা হয়, এটিই তাঁর পছন্দের খাবার। কিন্তু জানেন কি, গণেশের আরেকটি প্রিয় জিনিস সিঁদুর (Sindur)? হ্যাঁ, বজরংবলির মতো গণেশও সিঁদুর পছন্দ করেন। আর প্রত্যেক বুধবার গণেশ পুজোয় সিঁদুর ব্যবহার করলে সব দুঃখ, দুর্দশা, বিঘ্ন থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব। হিন্দু শাস্ত্র মতে গণেশকে সিঁদুর দানের আদর্শ সময় হল ফাল্গুন মাস। হোলির পরের দিন গণেশ পুজোর সরঞ্জামে অবশ্যই সিঁদুর রাখুন। এতে যাবতীয় শারীরিক সমস্যা দূর হয়। তবে যেমন-তেমনভাবে নয়, নির্দিষ্ট আচার-নিয়ম মেনেই সিঁদুর প্রদান করা উচিত।
[আরও পড়ুন: গণপতি বাপ্পার আরাধনার আগে জেনে নিন মাহাত্ম্য]
স্নান করে হলুদ রঙের পোশাক পরিধান করুন। সামান্য তেলে সিঁদুর মিশিয়ে রুপো কিংবা সোনার কয়েনে তা লাগান। যে কোনও দিনই এভাবে পুজো করতে পারেন। এরপর মন্ত্র উচ্চারণ করে সিঁদুর ও হোলির রং দিন গণেশকে। ‘সিন্দুর শোভনং রক্তং সৌভাগ্য সুখবর্ধনম। শুভদং কামদং চেব সিন্দুরং প্রতিগৃহাতম।’ এই মন্ত্রেই প্রসন্ন হন বিঘ্নহর্তা। বিশ্বাস রেখে ভক্তি ভরে এভাবে পুজো করলে সংসারে শান্তি বজায় থাকে। দূর হয় সমস্যা।
সিঁদুর ছাড়াও ভগবান গণেশকে খুশি করতে পুজোয় ব্যবহার করতে পারেন ধুতুরা ফুল, শঙ্খ, কলা ও দূর্বা। তবে বাড়ির কোন অংশে গণেশ অধিষ্ঠিত, তাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সংসারে আর্থিক ও মানসিকে শান্তি বজায় রাখতে উত্তর দিকে গণেশের মূর্তি রাখুন। যদি সেদিকে রাখা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে মাথায় রাখুন গণেশ পুজোর সময় আপনার মুখ উত্তর বা পূর্ব দিকে যেন থাকে।