বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: ভক্তদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা চালু হল মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে। এবার নবনির্মিত বৈদিক প্লানেটরিয়াম মন্দিরে চালু হল বিশাল ‘পূজারি ফ্লোর’। যেখানে শ্রীকৃষ্ণের পূজা-অর্চনার জন্য সবরকম আধুনিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ফ্লোরে থাকছে সিসি টিভির নজরদারি। ইসকন কর্তৃপক্ষের দাবি এই মন্দিরটি বিশ্বের বৃহত্তম। এই বৈদিক প্লানেটরিয়ামের নিচের তলায় বানানো হয়েছে এই পূজারি ফ্লোর।
বৃহস্পতিবার এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে বিশ্বের নির্মীয়মান সর্ববৃহৎ মন্দিরের পূজারি ফ্লোরের দ্বারোদঘাটন করা হয়। এই দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানকে ঘিরে হোমযজ্ঞ -সহ ধর্মীয় আচারের বিশাল আয়োজন করা হয়েছিল। ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে সকালেই শুরু হয়েছিল এদিনের অনুষ্ঠান। পতাকা উত্তোলন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন বৈদিক প্ল্যানেটরিয়াম প্রজেক্টর চেয়ারম্যান হেনরি ফোর্ডের নাতি আলফ্রেড ফোর্ড ওরফে অম্বরিশ দাস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী শর্মিলা দাস। এদিন সকালে হাতির পিঠে চড়িয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহকে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চলে ভগবানের আরাধনা। শুরু হয় মন্ত্রপাঠ সহযোগে হোমযজ্ঞ। ইসকনের খুদে পুরোহিত-সহ প্রধান পুরোহিতরা তাতে যোগ দেন। প্রায় কুড়ি হাজার দেশী ও বিদেশী ভক্তের উপস্থিতিতে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
[আরও পড়ুন : ‘৬ বছর নষ্ট করলে কেন?’ প্রেমদিবসে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় যুবক]
ওই বিষয়ে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রশিদ গৌরাঙ্গ দাস জানিয়েছেন, “শ্রীধাম মায়াপুর ইসকনের প্রধান কেন্দ্র। আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, বৈদিক প্লানেটরিয়াম মন্দির। বৃহস্পতিবার সেই মন্দিরের পুজারির ফ্লোরের উদ্বোধন করা হল। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রায় ৮০টি দেশের প্রতিনিধি মায়াপুরে এসেছেন। বিশ্ববাসীর কল্যাণে হোমযজ্ঞ করা হয়েছে। আধ্যাত্মিক পরিবেশে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যাতে এখানে এসে শান্তি পান, তার জন্য বৈদিক প্লানেটরিয়ামের কাজ চলছে। ২০২২ সালের মধ্যে এই প্লানেটরিয়ামের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আমরা আশা রাখছি।”
[আরও পড়ুন : মেয়ের বিয়ের দিন উদ্ধার বাবার ঝুলন্ত দেহ, দ্বিতীয় স্ত্রী’র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ]
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদিক প্লানেটরিয়ামের একটি অংশই হল পূজারি ফ্লোর। এই ফ্লোরে ৬২টি সুসজ্জিত ঘর রয়েছে। ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রায় আড়াই একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে এই মন্দির। ওই পূজারী ফ্লোর প্রতিদিন এক ঘন্টার জন্য সর্বসাধারণের জন্য খোলা হবে। ‘ আগামী দিনে এই বৈদিক প্লানেটরিয়াম বিশ্বের মানুষের কাছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে বলে ইসকন কর্তৃপক্ষের দাবিl