সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে তো তারিখটা ১৩। তায় আবার শুক্রবার। বাংলা বছরের শেষের এই সময়টা নিয়ে আতঙ্কের শেষ নেই। পরতে পরতে যেন রহস্য। প্রতিটা মুহূর্তে চিন্তা লেগে থাকে, কে জানে কী হয়! কোনও শুভ কাজে হাত দেওয়া উচিত নয় এই দিনে। এমনটাই বলেন গুরুজনরা। কিন্তু কেন এই দিনটাকে অশুভ মনে করা হয়? এর নেপথ্যে কারণ কী থাকতে পারে?
[হাসি-কান্না-রাগ-দুঃখ, নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সহজ উপায় অব্যর্থ]
উত্তরে অনেক তথ্যই উঠে আসে। একাধিক পক্ষের একাধিক মত রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কারণ সবচেয়ে বেশি শোনা যায়।
১) অনেকে বিশ্বাস করেন, এমনই এক অভিশপ্ত শুক্রবারে যিশুখ্রিস্টের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছিল। শেষ সেই নৈশভোজে যিশু-সহ ১৩ জন শামিল হয়েছিলেন। নৈশভোজে যিশু ঘোষণা করেন, এই শিষ্যদেরই একজন পরদিন তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। যে ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয়। আর যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। পরবর্তী কালে এই ‘লাস্ট সাপার’ বিখ্যত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ক্যানভাসে উঠে আসে।
২) ১৯০৭ সালে থমাস ডব্লু. লসন নিজের ‘ফ্রাইডে, দ্য থারটিন্থ’ উপন্যাসে অন্যরকম দাবি করেন। তাঁর এই উপন্যাস এক স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারের জীবন নিয়ে লেখা। যেখানে নায়ক এমন একটি গুজব ছড়িয়ে দেয় যে শুক্রবার ১৩ তারিখ হলে তা খুবই অশুভ। ফলে এই দিনে কেউ শুভ কাজ করতে ভয় পেতেন। আর এই ভয়ের সম্পূর্ণ লাভ ওই ব্রোকার নিত। এর মাধ্যমেই প্রচুর লাভ করত সে।
৩) চতুর্থ কিং ফিলিপের রাজত্বে টেম্পলার নাইটদের রমরমা ছিল ফ্রান্সে। রাজার মনে শান্তি ছিল না। যোদ্ধাদের জনপ্রিয়তায় শঙ্কিত হয়ে যান। নিজের গদি বাঁচাতে তাঁদের গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেন। কয়েকদিন বাদে হত্যারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। এ কথা সত্য। তবে যুক্তি দিয়ে তবেই বিশ্বাস করবেন। ভাল-মন্দ দুই সময়ের নিয়ম। মানুষের সময় সদা পরিবর্তনশীল। তাই বিশ্বাসও আপনার ব্যক্তিগত অধিকার।
[১০০ বছর পর অন্ধকার বাঙালির হালখাতায়, চিন্তায় ব্যবসায়ীরা]