সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সতর্ক করা হলেও সাধারণ মানুষের সামনে তার ভয়াল রূপ এখনও তেমন ভাবে ধরা পড়েনি। একটু একটু করে মেরু প্রদেশের বরফ গলছে, বাড়ছে পৃথিবীর জলতল। বঙ্গোপসাগরে জলের স্তর বৃদ্ধির প্রভাবে ক্রমেই সমুদ্রের গ্রাসে চলে যাচ্ছে সুন্দরবন। পরিবেশবিদদের এহেন সতর্কতাতেও তেমন টনক নড়ছে না সাধারণ মানুষের। তাই গাছ কাটা, জলাশয় বুজিয়ে ইমারত গড়ার নেশায় মত্ত আমজনতা থেকে শিল্পপতি, রাজনৈতিক নেতা সকলেই। মানুষের এই অজ্ঞতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতেই যেন বরফ গলে গ্রিনল্যান্ডে তৈরি হয়ে গেল আস্ত একটা নদী। না, অনেকদিন ধরে নয়। মাত্র একদিনের মধ্যেই মেরু প্রদেশের পরিবেশের এমন ব্যাপক চিত্রপট বদল।
[ আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে কেমন দেখতে পৃথিবী, প্রথম ছবি পাঠাল চন্দ্রযান ২]
বৃহস্পতিবার থেকেই গ্রিনল্যান্ডে ভয়ংকরভাবে হিমবাহ গলতে শুরু করেছে। যা এখনও চলেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই ভয়াবহ ভিডিও-ই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল। যে গ্রিনল্যান্ডের নাম শুনলেই চোখের সামনেই শুধু সাদা ছবি ভাসত, এখন সেখানেই বরফ গলে একটা আস্ত নদী বয়ে চলেছে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়তেই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। কাজে লাগানো হচ্ছে স্যাটেলাইট তথ্যও। তথ্য বলছে, এই মেরুদেশে প্রায় ৬০ শতাংশ বরফ গলে একটি নদীর রূপ ধারণ করেছে।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের কথায়, এই বছরই গ্রিনল্যান্ডে হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে সমুদ্রের জলস্তর অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। একমাসের মধ্যে বেড়েছে কোথাও কোথাও ০.১ মিলিমিটার বা ০.০০২ ইঞ্চি। জুলাই মাসে হিমবাহ গলে মোট ১৯৭০ কোটি টন জল এসে পড়েছে আটলান্টিক মহাসমুদ্রে। গ্রিনল্যান্ডের এই ঘটনায় বরফ গলে মোট ১ হাজার কোটি টন জল সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, উষ্ণায়নের জেরে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শহর জলের তলায় চলে গিয়েছে। তবে গ্রিনল্যান্ডের বর্তমান এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে ইউরোপের দাবদাহকে।