সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতে বিশ্বের দরবারে তার নিন্দার শেষ নেই। সর্বশক্তিমান রাষ্ট্র হলেও চিনের (China) সমালোচনায় মুখর অনেকেই। ঘরে, বাইরে একাধিক সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচিত রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং। কিন্তু এসবের মাঝেই আন্তর্জাতিক এক সমীক্ষার রিপোর্ট শোনাচ্ছে অন্য কথা। কার্বন নিঃসরণ রুখে দিতে নাকি বেশ ভাল কাজ করছে চিন। অর্থাৎ পরিবেশ রক্ষায় তার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সম্প্রতি এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে চিনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কার্বন নিঃসরণ (Carbon emission) কমিয়ে পরিবেশ বাঁচাতে সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছে চিনের জিনপিং প্রশাসন। ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন উৎপাদনের পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এই সংক্রান্ত প্রকল্পও ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু যে দেশে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনই দায়ী, সেখানে আগামী ৪০ বছরের মধ্যে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রিত হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের ২৮ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের পিছনে চিনেরই অবদান।
তবে জিনপিংয়ের নয়া ঘোষণা অনুযায়ী বাস্তবে দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিমের উন্নান, গুইঝো এবং গুয়াংশি প্রদেশের বনাঞ্চল যতটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশিই কার্বন শুষে নিচ্ছে পরিবেশ থেকে। নতুন নতুন বনাঞ্চল তৈরির মাধ্যমে এভাবেই পরিবেশ কার্বনের মাত্রা কমাতে তৎপর চিন।
চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের অধ্যাপক ই লিউ বলছেন, “২০৬০-এর মধ্যে নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণের টার্গেট নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এতে শক্তি উৎপাদন ও কার্বন শোষণের ক্ষেত্রে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে। বনাঞ্চল তৈরিই এই লক্ষ্য পূরণের সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।” আসলে কলকারখানার উৎপাদনের মাঝেও এভাবেই কার্বনের পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করছে চিন।
তাই সাম্প্রতিক সময়ে কোটি কোটি বৃক্ষরোপন হচ্ছে। আর তাতেই কার্বন শোষণের মাত্রা বাড়ছে। প্রথমে স্যাটেলাইট মাধ্যমে চিনের এই ছবি দেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। পরে মাটি পরীক্ষা করেও একই ফল টের পেয়েছেন। তারপরই পরিবেশ রক্ষায় চিনের উদ্যোগকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.