সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে সারা বিশ্ব করোনা নিয়ে ব্যস্ত। এর মধ্যেই নতুন আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল ওজন স্তরে ছেদ তৈরি হওয়ায়। কিন্তু প্রকৃতি যে নিজের রোগ নিজেই সারানোর ক্ষমতা রাখে, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন সুমেরুর উপরে প্রায় ১ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার জুড়ে ওজন স্তরে একটি প্রশস্ত গর্ত তৈরি হয়েছিল। সে গর্ত এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কোনও অদ্ভুত উপায়েই সেটি বিশালাকর গর্ত বুজিয়ে দিয়েছে প্রকৃতি।
এই মাসের গোড়ার দিকে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন, সুমেরুর উপর ওজোন স্তরে এত বড় মাপের ছিদ্র তৈরি হওয়া ব্যতিক্রমী ঘটনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ছে। আর এই ছিদ্র পৃথিবীর স্বাস্থ্যে বড়সড় প্রভাব ফেলবে। এখন মাত্রাতিরিক্ত দূষণের জেরে এমনতিই পাতলা হচ্ছে ওজোন স্তর। তার উপর আবার এত বড় ছিদ্র তৈরি হওয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বাধাহীনভাবে পড়বে সরাসরি ভূপৃষ্ঠের উপর। উত্তর মেরুতে কম তাপমাত্রার ফলে এই গর্ত হয়েছে তা যদিও ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে, ছিত্রটি বায়ু গতিবেগের সাহায্যে যদি দক্ষিণে চলে আসে, তবে মানবজাতির পক্ষে অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের সেই আশঙ্কা অমূলক প্রমাণ করে দিল প্রকৃতি।
[ আরও পড়ুন: চলতি বছর সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ চাক্ষুষ করার সুবর্ণ সুযোগ দেশবাসীর কাছে! জেনে নিন দিনক্ষণ ]
COVID-19 ঠেকাতে যে লকডাউন চলছে, তার কারণে পৃথিবীর ওজোন স্তরের গর্তটি নিরাময়ের কোনও কারণ নেই। চলমান দূষণের হ্রাসের সঙ্গেও এর কোনও সম্পর্ক নেই। বরং মেরু ঘূর্ণির সঙ্গে এই ওজন স্তরের প্রলেপ সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। উচ্চ উচ্চতার কারণে বাতাস মেরু অঞ্চলে শীতল বায়ু নিয়ে আসে। বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, এই বছরে মেরু ঘূর্ণি অত্যন্ত শক্তিশালী। যার অভ্যন্তরের তাপমাত্রা খুব ঠান্ডা। এর ফলে স্ট্র্যাটোস্ফেরিক মেঘ CFC গ্যাসগুলির সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে ওজোন স্তরের ক্ষতি করেছিল। কিন্তু এখন, সেই মেরু ঘূর্ণি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। যার ফলে মেরু অঞ্চলে ওজোন স্তরটিতে স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস, এটি পরের বারের মতো ওজোন স্তরে এমন প্রভাব ফেলবে না।