সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হাওয়ায় পেয়েছি তোর নাম…’- বছর ২৪ পরে এমন কিছু একটা বার্তা ভেসে আসতেই পারে। না, এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। এ বার্তা ভেসে আসতে পারে ভিনগ্রহ থেকেই। তাও আবার এই সৌরজগতের নয়। প্রতিবেশী কোনও সৌরজগৎ থেকে। অন্য গ্রহের উদ্দেশে বার্তা পাঠিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরাই। পৃথিবী থেকে প্রায় ১২.৩৬ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে ওই গ্রহ। তাতেই যদি কোনও বুদ্ধিমান প্রাণী থেকে থাকে, তার কাছে এই বার্তা পৌঁছে যাওয়ার কথা প্রায় এক যুগ পর। এবার ভিনগ্রহী এলিয়েনরা যদি সত্যিই ওই বার্তা পান, বা পাঠোদ্ধারে সক্ষম হন, তাহলে পৃথিবীর মাটিতে তা ফেরত আসতে আরও বারো বছর লাগবে। অর্থাৎ ২৪ বছরের অপেক্ষা।
[চাঁদে মানুষ পাঠানোর দাবি ভুয়ো, অ্যাপোলো ১৭-এর সাফল্যকে নস্যাৎ করল নয়া ভিডিও]
সান ফ্রান্সিসকোর এমইটিআই ইন্টারন্যাশনালের তরফে সংস্থার প্রেসিডেন্ট ডগলাস ভাকোচ বলেন, এই বার্তাটি ফেরত এলে তা হবে যুগান্তকারী এবং ফেরত না এলেও তা হয়ে উঠবে যুগান্তকারী। নরওয়ের একটি অ্যান্টেনা থেকে রশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে এই বার্তা। ১৯৭৪ সালে পুয়ের্তো রিকোর আরেসিবো টেলিস্কোপ থেকে দূরবর্তী একটি নক্ষত্রপুঞ্জের কাছে রেডিও সংকেত পাঠানো হয়েছিল, তারই বার্ষিকী পালন উপলক্ষে এই বার্তা প্রেরণ করা হল।
[চলন্ত ট্রেনে খালি হাতে সাপ মারলেন যুূবক, ভাইরাল ভিডিও]
GJ 273b নামের এই তারাটিকে ‘লুটিয়েন স্টার’ বলা হয়েছে। এটিকে লাল বামনও বলা হয়ে থাকে মহাকাশ বিজ্ঞানের জগতে। ক্যানিস মাইনর নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে এই GJ 273b নক্ষত্রটির দূরত্ব কম নয়। তবে নক্ষত্রটির অধীনে যে দু’টি গ্রহ রয়েছে, তারা বসবাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। নক্ষত্রটির লুইটেনের কক্ষপথে অবিরত ঘুরে চলেছে। GJ 273b-র নিজস্ব বসবাসযোগ্য এলাকায় জলের অস্তিত্বের সম্ভাবনা রয়েছে। রয়েছে প্রাণের সম্ভাবনাও। বিজ্ঞানীরাই বলছেন, বছর পঁচিশের মধ্যেই এই বার্তা ফেরত আসতে পারে। ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বার্তা ফেরত এলেই। সেই কারণেই গ্রহের বাসিন্দাদের উদ্দেশে বিজ্ঞানী ও শিল্পীরা একটি সম্মিলিত বার্তা পাঠিয়েছেন।
[স্বল্প সময়ের নোটিসে যুদ্ধের জন্য অস্ত্র নির্মাতাদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ পুতিনের]