Advertisement
Advertisement
নাসিকে অক্সিজেন পার্লার

লাগামছাড়া দূষণ, বিশুদ্ধ বাতাস দিতে নাসিকে এবার অক্সিজেন পার্লার

এয়ারো গার্ডের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে উদ্যোগী ভারতীয় রেলও।

New Oxygen Parlour at Nashik Railway station to improve air quality.
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 23, 2019 11:27 am
  • Updated:December 23, 2019 11:29 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাতাসে মিশছে বিষ। নিশ্বাস নেওয়াই দুষ্কর। বিশ্বের দূষণ পরিমাপক সংস্থার মাপকাঠি বলছে, ভারতে দূষণমাত্রা বেড়েছে লাগামছাড়া। সবচেযে খারাপ পরিস্থিতি মেট্রো শহরগুলি। আরব সাগরের তীরে মুম্বইও ব্যতিক্রম নয়। তাই এবার শহরবাসীর কাছে বিশুদ্ধ বাতাস পৌঁছে দিতে উদ্যোগী এয়ারো গার্ড। ভারতীয় রেলকে সঙ্গী করে তাঁরা নাসিক রেলস্টেশনে তৈরি্ করেছে অক্সিজেন পার্লার।

Advertisement

বাতায় পরিশুদ্ধ করতে সেখানে বেশকিছু গাছ রাখা রয়েছে। যা পরিবেশ থেকে বিষাক্ত উপাদানগুলিকে টেনে নেয়। পরিবর্তে শুদ্ধ অক্সিজেন তৈরি করে। এয়ারো গার্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমিত অমৃতকার জানান, নাসার পরামর্শের উপর ভিত্তি করেই এই অক্সিজেন পার্লার তৈরি করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “১৯৮৯ সালে নাসা একটি সমীক্ষা করে। সেখানে দেখা যায়, “বেশ কিছু গাছ আছে, যা বাতাসের সবচেয়ে ক্ষতিকারক পাঁচটি উপাদান টেনে নেয়। আমরা সেই ধরণের গাছই এখানে লাগিয়েছি। তবে নির্দিষ্ট কিছুটা এলাকার বাতাস স্বচ্ছ রাখতে পারে।” তিনি আরও জানান, শুধু এই স্টেশনে নয়। শুদ্ধ বাতাস পৌঁছে দিতে প্রত্যেকটি স্টেশনেও এই ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৭০ বছর পরেও মর্যাদার লড়াই লড়তে হচ্ছে মুসলিমদের, আক্ষেপ ওয়েইসির]

পাশাপাশি বাড়িতে-বাড়িতে এই গাছগুলি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচেছে। জানা গিয়েছে, এই পার্লার থেকে গাছ কিনে বন্ধু বা পরিজনদের উপহারও দেওয়া সম্ভব। এর ফলে বাড়তে থাকা দূষণকে কিছুটা হলেও লাগাম পড়ানো যাবে বলেও মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

[আরও পড়ুন: ফের দিল্লির কিরারি এলাকায় আগুন, কাপড়ের গুদামে অগ্নিদগ্ধ ৯]

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে নাসিক স্টেশনে আসা নিত্যযাত্রীদের দাবি, নিসন্দেহে খুব ভাল উদ্যোগ। বায়ুর গুনমান ফেরাতে ভীষণ উপকারী। তবে শুধু নাসিক স্টেশনে নয়। আমরা চাই শহরের দূষিত এলাকায় এই ধরণের পার্লার তৈরি করা হোক।

[আরও পড়ুন: এককালীন মোটা টাকা পেলেই খোরপোশে এখন ইতি, বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলার নতুন ট্রেন্ড]

প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই রাজধানী দিল্লি-সহ একাধিক মেট্রে্া শহরের বাতাসের গুনমান পরিবেশবিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছিল। কার্যত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছিল দিল্লি। সেইসময় সেখানেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অক্সিজেল পার্লার শুরু করা হয়। যেখানে অর্থের বিনিময় নির্দিষ্ট পরিমাণ শুদ্ধ অক্সিজেন মিলত।          

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ