রোববার যুবভারতীর ডার্বি ম্যাচে থাকছেন বলিউডের চিত্রনাট্যকার। বাইচুং ভুটিয়া-র বায়োপিক লিখতে। দুলাল দে‘র খবর।
বাইচুংকে নিয়ে বায়োপিক হচ্ছে বি-টাউনে। এটা আর নতুন খবর নয়। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলের আইকনের বায়োপিকে কী থাকবে? তার খোঁজ নিতেই ডার্বি দেখতে রবিবার যুবভারতীতে হাজির থাকছেন বাইচুংয়ের বায়োপিকের স্ক্রিপ্ট রাইটার প্রশান্ত পাণ্ডে। কে এই প্রশান্ত পাণ্ডে? ‘সরকার-২’, ‘পূর্ণা’, ‘রেইড’-এর মতো বলিউড ব্লকবাস্টার ছবির স্ক্রিপ্ট বেরিয়েছে এই প্রশান্ত পাণ্ডের কলম থেকেই। এবার তাঁর কাঁধেই পড়েছে বাইচুংয়ের বায়োপিকের স্ক্রিপ্ট লেখার দায়িত্ব। আর বাইচুংকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করতে গেলে ডার্বি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবা সম্ভবই নয়। কেননা, ফেডারেশন কাপের সেই হ্যাটট্রিকটাই তো পুরো জীবন ঘুরিয়ে দিয়েছিল বাইচুংয়ের। তাই ডার্বির দিন যুবভারতীতে বসে বড় ম্যাচের উত্তাপটা নিতে চাইছেন প্রশান্ত। মুম্বই থেকে ফোনে বললেন, “বাইচুংয়ের সঙ্গে বসে কিছু গল্প শুনেছি। কিন্তু কলকাতায় এসে ডার্বি, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এই ক্লাবগুলি না দেখলে বা কথা না বললে বাইচুংকে ধরা সম্ভব নয়। কেননা বাইচুংয়ের বাইচুং হয়ে ওঠাই তো কলকাতায়।” রবিবার সকালেই কলকাতায় আসছেন তিনি। দেখতে চান, ইস্ট-মোহন লড়াই ঘিরে কীভাবে কলকাতার মানুষ উদ্বেল হয়ে পড়েন। যে ডার্বিতে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা বাইচুং ভুটিয়া।
[কোহলি পছন্দসই কোচ পেলে হরমনপ্রিত কেন নয়? বিস্ফোরক ডায়না]
আপাতত চলছে বায়োপিকের স্ক্রিপ্ট তৈরির কাজ। আর প্রশান্তকে এই দায়িত্বটা দিয়েছেন ফিল্ম ডিরেক্টর আনন্দ কুমার। যিনি এর আগে ‘দিল্লি হাইটস’, ‘জিলা গাজিয়াবাদ’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেছেন। তবে এবার তিনি ডিরেক্টর নন, তিনি থাকছেন প্রোডিউসারের ভূমিকায়। তিনিই বাইচুংকে প্রস্তাব দেন, তাঁর বায়োপিক তৈরির। স্ক্রিপ্ট রাইটার ঠিক হলেও, এখনও ঠিক হয়নি ভারতীয় ফুটবলের আইকনকে নিয়ে তৈরি হতে চলা ছবির পরিচালক কে। যেমন ঠিক হয়নি, বাইচুংয়ের চরিত্রে কাকে দেখা যাবে? এখন চলছে শুধুই তথ্য সংগ্রহর কাজ। আর তাই কলকাতায় আসছেন প্রশান্ত আনন্দ।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাহাড় থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে খেলতে। সেই সবই ধরে রাখা হবে এই ছবিতে। থাকবে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব পল্টু দাসের চরিত্রও। কেননা, পল্টু দাস অনুমতি দিয়েছিলেন বলেই মরশুমের মাঝপথে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিতে পেরেছিলেন তিনি। পরে মোহনবাগানে সই। কীভাবে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে মোহনবাগানে গেলেন? সবুজ-মেরুন জার্সিতে কী কী কৃতিত্ব রয়েছে? আবার এই মোহনবাগানে থাকতেই একটা সময় ফুটবলার জীবনের কঠিন সময়ে এসে উপস্থিত হয়েছিল কীভাবে? সবই দেখানো হবে। বাইচুং সিকিমের হলেও সবকিছুই তো কলকাতায়। তাই প্রশান্ত মনে করছেন, বাইচুংকে ধরতে হলে কলকাতার রাস্তায় তাঁকে খুঁজে পাওয়াটা খুবই জরুরি।