ইস্টবেঙ্গল: ২ (মেহতাব সিং, কৌশিক)
জর্জ টেলিগ্রাফ: ১ (মর্গ্যান)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের বয়স তখন ৯০ মিনিট। মাথায় তখন হাত পড়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। ডার্বির আগে কি তবে দলের হোঁচট খাওয়ার সাক্ষী থাকতে হবে? গ্যালারির দর্শকদের মুখগুলো হতাশায় ফ্যাকাসে। ঠিক তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন কৌশিক সরকার। খেলার অন্তিম লগ্নে গোল করে দলে অক্সিজেন ফেরালেন। সেই সঙ্গে লাল-হলুদ শিবিরে স্বস্তির সঙ্গে ফিরল আত্মবিশ্বাস। আর ডার্বির আগে বুধবার এটাই ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে পাওনা।
[ডার্বির আগে স্বস্তি, এরিয়ানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী মোহনবাগান]
ডার্বির চিন্তায় পচা শামূকে পা কাটার ঘটনা ময়দানে নতুন নয়। ডার্বির পর আবার অতিরিক্ত আত্মতুষ্টিও ডুবিয়েছে বড় ম্যাচে জয়ী দলকে। এদিন খেলা যেভাবে এগোচ্ছিল, তাতে সেসব কথাগুলোই ঘুরেফিরে আলোচনায় উঠে আসছিল। এমনকী তালিকার নিচের দিকে থাকা জর্জ টেলিগ্রাফের কাছে গোল হজম করে পিছিয়েও পড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। জাস্টিস মর্গ্যানের বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত শটে এগিয়ে যায় জর্জ। তবে দলকে সমতায় ফেরাতে বিশেষ সময় নেননি মেহতাব সিং। আমনার ক্রস থেকে গোল করেন মেহতাব।
কিন্তু ডার্বির আগে তো আর এক পয়েন্ট লক্ষ্য হতে পারে না। এখন প্রতিটা ম্যাচই ফাইনাল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে একটা পয়েন্ট নষ্ট করা মানেই বড় ক্ষতি। সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সুভাষ ভৌমিকের মাথাতেও চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছিল। আর তখনই কৌশিক সরকার বদলে দিলেন ম্যাচের রং। তবে তিন পয়েন্ট এলেও জর্জের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় খানিকটা চিন্তাতেই রাখল লাল-হলুদ শিবিরকে। ডার্বিতে নামার আগে রক্ষণভাগের দোষ-ত্রুটি শুধরেই নামবেন সুভাষ ভৌমিক। আর অ্যাকোস্টা খেললে সেই দুশ্চিন্তা অনেকটাই দূর হবে। তাছাড়া ডার্বির আগেই এক বিশ্বমানের স্ট্রাইকারকে সই করিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।
[আফ্রিদির ‘বুমবুম’ ডাকনামটি দিয়েছিলেন এই ভারতীয় ক্রিকেটার!]
সাত ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। একই পয়েন্ট মোহনবাগানের। তবে গোল পার্থক্য এক থাকলেও শীর্ষে মোহনবাগানই। এমন অবস্থায় ডার্বির লড়াই যে আরও জমবে, তা বলাই বাহুল্য। আর তুরুপের তাসের মতো ডার্বিতে অ্যাকোস্টাকে ঝুলি থেকে বের করতে চান অ্যাকোস্টা। তাই সবমিলিয়ে রবিবারের যুবভারতীর দিকেই নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।