১৪ আশ্বিন  ১৪৩০  সোমবার ২ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

তামিম-মুশফিকুর জুটির লড়াই, ভারতকে কড়া টক্কর বাংলাদেশের

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: June 15, 2017 12:43 pm|    Updated: June 15, 2017 12:53 pm

Champions Trophy: India needs 265 runs to win against Bangladesh

বাংলাদেশ:  ৫০ ওভারে ২৬৪/৭ (তামিম ইকবাল ৭০, মুশফিকুর রহিম ৬১, বুমরাহ ২/৪০)

ভারত:

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বার্মিংহামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে মুখোমুখি দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও বাংলাদেশ। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ের অনেক আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’দেশের সমর্থকদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচ হোক কিংবা ২০১৬-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ, বাংলাদেশকে পরাস্ত করেছে ভারত। আর তাই বৃহস্পতিবার মিনি বিশ্বকাপের শেষ চারের লড়াইয়ে বদলা নিতে মুখিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। উলটোদিকে, ভারতীয় সমর্থকদের মতে, কোনওমতেই বিরাটদের সামনে ধোপে টিকতে পারবে না মুশফিকর রহিমরা। প্রস্তুতি ম্যাচের মতোই ধরাশায়ী হবে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ যে এক হয় না বিরাটদের হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিলেন তামিম ইকবাল-মুশফিকর রহিমরা।

[মালয়েশিয়ার বায়ুসেনার বিমান নিখোঁজ, চলছে তল্লাশি]

বৃহস্পতিবার বৃষ্টির ভ্রুকুটি মাথায় নিয়েই শুরু হয়েছে খেলা। এর মধ্যে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। মেঘলা আকাশ, নতুন বল, বলতে গেলে সুইং বোলারদের জন্য আদর্শ পরিবেশ। নতুন বলে শুরুটাও সেরকমই করেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন সৌম্য সরকারকে। শূন্য রানে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানটি। এরপর ক্রিজে আসা সাব্বির রহমান পালটা আক্রমণ শুরু করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ফের একবার বিরাটকে সাফল্য এনে দেন ভুবি। পয়েন্টের ওপর দিয়ে বল ওড়াতে গিয়ে জাদেজাকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেন সাব্বির।

[২২ বছর কোষ্ঠকাঠিন্যের পর রোগীর দেহ থেকে বেরোল ১৩ কেজি বর্জ্য]

এরপরেই অবশ্য হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম এবং তামিম ইকবাল। ভারতের বিরুদ্ধে বরাবরই দুর্দান্ত খেলেন তামিম। এদিন শুরুতে কিছুটা সময় নিলেও ধীরে ধীরে নিজের স্বরূপ দেখাতে শুরু করেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। উলটোদিকে, যোগ্য সঙ্গত দেন মুশফিকরও। তৃতীয় উইকেটে দু’জন মিলে ১২৩ রান যোগ করেন। এর মধ্যে অবশ্য একই ওভারে দু’বার নো’বল করায় একবার করে জীবনদান পেয়ে যান মুশফিকুর ও তামিম। একবার ফ্রি-হিটে বেঁচে যান মুশফিকুর। ওই ওভারেই বোল্ড হলেও নো-বল করায় টিকে যান তামিমও। এভাবে খেলতে থাকলে তিনশোর গণ্ডি পেরিয়ে যাবে দল। গ্যালারিতে উপস্থিত বাংলাদেশি সমর্থকরা এমনটাই ভাবতে শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনই এল কাহানি মে টুইস্ট। দলের নির্ভরযোগ্য বোলাররা যখন পারছেন না, তখন উইকেটের সন্ধানে কেদার যাদবকে নিয়ে আসেন ক্যাপ্টেন কোহলি। তাঁর স্ট্র্যাটেজি অবশেষে কাজে দেয়। বাংলাদেশি জুটি ভেঙে দুটি উইকেটই তুলে নেন তিনি। ৭০ রানে বোল্ড হন তামিম। মুশফিকুরের সংগ্রহ ৬১ রান।

[শিব সেনার নাম গিনেস বুকে তোলার সুপারিশ কংগ্রেস বিধায়কের]

কেন বাংলাদেশকে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দল বলা হয়, এদিনও তার প্রমাণ রাখলেন ক্রিকেটাররা। ইনিংসের মাঝপথে যে লড়াইটা করেছিলেন তামিম-মুশফিকুর, সেটাকে চালিয়ে যেতে পারেননি তাঁরা। স্লগ ওভারে জ্বলে ওঠেন ভারতীয় বোলাররা। বুমরাহ, ভুবি ও কেদার দুটি করে উইকেট নেন।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে