স্টাফ রিপোর্টার: কথাটা সরাসরি বলে দেওয়া যায়। কিন্তু সরকারি ঘোষণা না হওয়ায় আটকে যেতে হচ্ছে। টোকিও অলিম্পিক বছর খানেক পিছিয়ে গেল। এবারের আইপিএলও (Indian Premier League) বাতিল হতে পারে। বল কিন্তু সেদিকেই গড়াচ্ছে।
কেন বন্ধ হতে পারে আইপিএল? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার রাতে লকডাউন তিন সপ্তাহ বাড়িয়ে দিতেই আইপিএলের ভবিষ্যতের ছবি আগাম পড়ে ফেলা যায়। আগেই বলা হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব বন্ধ। তারপর করোনার থাবা থেকে খেলার দুনিয়া স্বস্তি পেলে আইপিএল নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তবে এখানেই শেষ নয়, লকডাউনের দিন বাড়তে পারে। তা হলে আইপিএল কীভাবে শুরু হবে। টুর্নামেন্ট সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তা হলে? এখানেই প্রশ্ন। সঙ্গে বাড়ছে অনিশ্চয়তা। তাই টুর্নামেন্ট এ বছরের মতো বাতিল বলা যেতে পারে। কিন্তু শুরুতে বলা হল, টুর্নামেন্ট বন্ধের ঘোষণা সরকারিভাবে হয়নি। তাই অনিশ্চয়তার মধ্যেই থাকতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে ব্যবহার করুন ইডেন গার্ডেন্সের পরিকাঠামো, মমতাকে প্রস্তাব সৌরভের]
মঙ্গলবার বিসিসিআই কর্তাদের সঙ্গে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ভিডিও কনফারেন্স হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা শুরুতেই বাতিল হয়। কারণ, এখন এ নিয়ে কী আলোচনা করবেন? এমন অস্থিরতার মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে কেউ কথা বলতে পারেন? পারেন না বলেই আলোচনা পিছিয়ে গেল। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এ নিয়ে আমরা কোনওকিছু ঠিক করিনি। সবাই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে। আগে সব ঠিক হোক। তারপর কথা বলা যাবে।” সৌরভের (Sourav Ganguly) কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, এ ব্যাপারে ক্রিকেট কর্তাদের ভাবনা কোথায়! তাঁরাও মনে করছেন, এ বছর টুর্নামেন্ট করা যাবে না। তাই সবাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন। ২৯ মার্চ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সিএসকে বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্থগিত হতে প্রথম ধাক্কা খায় আইপিএল। এদিন অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় বলা শুরু হয়, আইপিএল এবছর হয়তো হবে না। মানুষ যেখানে আতঙ্কে ভুগছে, সেখানে ক্রিকেট কী করে হবে? মাঠে ব্যাট-বলের লড়াই হতে পারে? তাই আইপিএল বন্ধের দিকে, এটা বলা যেতেই পারে।