সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোষ বোর্ডের। ভুগছেন ক্রিকেটাররা। ভুল নয়, নিজেদের ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ সময়ের মধ্যে না জানানোর অপরাধে শনিবার নাডার নোটিস পেলেন চেতেশ্বর পূজারা, কেএল রাহুল-সহ পাঁচ ক্রিকেটার। তবে পরে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রো বোর্ড (BCCI) স্বীকার করে নিল যে, দোষটা ক্রিকেটারদের নয়। পাসওয়ার্ড নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই এহেন দেরি হয়েছে!
[আরও পড়ুন: ১৫ জুন খুলছে না মোহনবাগান তাঁবু, করোনা আবহে সিদ্ধান্ত বদল কর্তাদের]
পুরো ঘটনাটা ঠিক কী?
চেতেশ্বর পূজারা, রবীন্দ্র জাদেজা, কেএল রাহুল, স্মৃতি মান্ধানা এবং দীপ্তি শর্মা– ভারতের পুরুষ ও মহিলা টিম মিলিয়ে এই পাঁচজনের ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ জানতে চেয়েছিল জাতীয় অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (NADA)। অর্থাৎ তাঁরা কখন, কোথায়, কী করছেন ইত্যাদি তথ্য নিয়ম মেনে জানাতে হয় নাডাকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সেসব তথ্য না জানানোয় এদিন পাঁচ ভারতীয় তারকার বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা হয়। তবে গোটা বিষয়টি সামলাতে দ্রুত আসরে নামে বিসিসিআই। নোটিসের উত্তরে ভারতীয় বোর্ড সরকারিভাবে লিখে জানায় যে, পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত গন্ডগোলের কারণেই ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ সংক্রান্ত তথ্য দেরি হয়েছে।
“দু’রকমভাবে নাডার ফর্ম ভরা যায়। হয় সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়রা তা ভরে, নইলে তাদের সংস্থা। অনেক সময়ই প্লেয়াররা সময়ের অভাবে কিংবা ফর্মের জটিলতার জন্য সেটা বুঝতে পারে না। তখন তাদের হয়ে সেই সংস্থা কাজটা করে দেয়। ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একইরকম। অতএব, দায়টা এক্ষেত্রে সংস্থার। ভারতীয় বোর্ড কেন ক্রিকেটারদের তিন মাসের ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ দেয়নি? তরফে এই কারণটাই তুলে ধরা হয়েছে। তবে তা মানা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে,” বলে দিয়েছেন নাডার ডিজি নবীন আগরওয়াল।
লকডাউনের মধ্যেও ক্রিকেটারদের তিন মাসের ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ নাডাকে দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। এমনটা না করলে ডোপ রিবোধী আইন অমান্য করার অভিযোগে কোনও খেলোয়াড়কে দু’বছর পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হতে পারে।