সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১৫ জুন অর্থাৎ আগামী সোমবার সদস্য-সমর্থকদের জন্য খুলে যাবে মোহনবাগানের গেট। গত সোমবার টুইট করে ভক্তদের এমন খবরই দিয়েছিল সবুজ-মেরুন ক্লাব। কিন্তু বর্তমান মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত বদল করলেন কর্তারা। জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত ক্লাব খুলছে না।
শনিবার একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে সচিব সৃঞ্জয় বোস জানান, প্রথমে ঠিক হয়েছিল ১৫ জুন বাগানভক্তদের জন্য ক্লাব খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। এমন অবস্থায় সদস্য-সমর্থকদের সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকার দিকটাও ভাবা হচ্ছে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন, খুব দরকার ছাড়া যেন কেউ বাইরে না বের হন। তাই সবদিক বিচার করেই আপাতত ক্লাব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। সঠিক সময় বুঝেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘টেস্ট করিয়েছি, আমি করোনা পজিটিভ’, জানালেন প্রাক্তন পাক তারকা আফ্রিদি]
ক্লাবের গেট খোলার পাশাপাশি গত সোমবার এও জানানো হয়েছিল যে ১৬ তারিখ থেকে তাঁবুতেই পাওয়া যাবে চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগানের মার্চেনডাইস। কিন্তু ক্লাব বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তে তাঁবু থেকে ইচ্ছে মতো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রোডাক্ট কেনার আর উপায় রইল না বাগানপ্রেমীদের। এক্ষেত্রে ক্লাবের তরফে জানানো হয়, অনলাইনেই কেনা যাবে জার্সি-মাগ-সহ আই লিগ চ্যাম্পিয়ন বাগানের লোগোযুক্ত সমস্ত সরঞ্জাম। শীঘ্রই শুরু হবে বিক্রি। কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে কীভাবে সেসব প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন সমর্থকরা, তা খুব তাড়াতাড়ি জানিয়ে দেওয়া হবে। মোহনবাগান সচিবের আশা, কেন ক্লাব সিদ্ধান্ত বদল করেছে, তা নিশ্চিতভাবেই বুঝবেন ফুটবলপ্রেমীরা।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বন্ধ মোহনবাগান ক্লাব। তারও আগে অবশ্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত স্পোর্টস ইভেন্ট। বাকি ছিল আই লিগের কয়েকট ম্যাচও। তবে তার আগেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন ফ্রান গঞ্জালেসরা। লকডাউনের মধ্যেই মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। তবে করোনা রুখতে লকডাউনের জেরে ট্রফি এখনও হাতে তোলা হয়নি ফুটবলারদের। বাকি রয়ে গিয়েছে সেলিব্রেশনও। এমনকী লকডাউনের জন্য এবার ছেদ পড়ে ঐতিহ্যেও। প্রতিবারের মতো পয়লা বৈশাখে এবার খুঁটিপুজোও করা যায়নি ধুমধাম করে। শনিবারের পর প্রিয় ক্লাবে পা রাখার অপেক্ষাও দীর্ঘায়িত হল সমর্থকদের।