সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এবার আর দর্শকশূন্য সুনসান স্টেডিয়ামের খেলা ঘরে বসে টিভিতে দেখতে হবে না। কারণ, আগামী সপ্তাহেই পরীক্ষামূলকভাবে স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসন। শুক্রবার একথা ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)।
জনসন আগেই জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবর থেকে ইংল্যান্ডের ক্রীড়াক্ষেত্র পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে দর্শকদের জন্য। তার আগে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আগামী সপ্তাহে কয়েকটি স্টেডিয়াম খুলে দিতে চান তিনি। শুরুটা হবে ক্রিকেট (Cricket) দিয়েই। ২৬-২৭ জুলাই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুম শুরু হচ্ছে। সেখানে ম্যাচ দেখার অনুমতি পাবেন ক্রিকেটাররা। এরপর বিশ্ব স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ, ঘোড়দৌড়ের মতো কিছু ইভেন্টেও দর্শকদের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে, ব্রিটেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল মাঠে এখনও দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে শেষ হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের (EPL) চলতি মরশুম। চলতি সপ্তাহে ঐতিহাসিক এফএ কাপের (FA) সেমিফাইনালও আছে। কিন্তু কোনও ইভেন্টেই মাঠে দর্শক ঢুকতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: ভারতে নয়, এবছর বিদেশেই হতে চলেছে আইপিএল! সংকুচিত হচ্ছে সূচিও]
আগামী সপ্তাহে কিছু খেলায় দর্শক ঢোকার অনুমতি পেলেও, সব ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্টেডিয়ামের মোট দর্শকাসনের একটা নির্দিষ্ট শতাংশই দর্শকদের জন্য খোলা হবে। দুজন দর্শকের মধ্যে ফাঁকা জায়গা রাখা হবে। মাস্ক, থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। কারও শরীরে করোনা উপসর্গ থাকলে তাঁকে স্টেডিয়ামে না আসতে অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে এসব সত্বেও স্টেডিয়াম খোলার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিটেনের অনেক নাগরিকই। কারণ, সেদেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাছাড়া খেলাধুলো আবেগের ব্যাপার। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আদৌ সম্ভব কিনা, সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। উল্লেখ্য, এর আগে অস্ট্রেলিয়া সরকার একইরকমভাবে এ মাসের শেষের দিকে মাঠে দর্শক ঢোকানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তাঁদের সে পরিকল্পনা এখনও বাস্তব রূপ পায়নি।