সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সর্বসম্মতিক্রমে বিসিসিআইয়ের মসনদে বসেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দায়িত্ব নেওয়ার পরের দিন থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করে দিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সভাপতি হিসেবে দাদাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন তারকা উইকেটকিপার ফারুক ইঞ্জিনিয়ার। আর সেই সঙ্গে প্রশাসনিক কমিটি (সিওএ) এবং নির্বাচকদের তুলোধোনা করলেন তিনি।
অনুরাগ ঠাকুর সভাপতির পদ ছাড়ার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বোর্ডের কার্যভার সামলাচ্ছিল সিওএ। কিন্তু তাদের কার্যকালে ভারতীয় ক্রিকেটের কোনও উন্নতি হয়নি বলেই দাবি করেছেন ফারুক। এমনকী জাতীয় নির্বাচকদেরও একহাত নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, সে বিষয়ে স্বচ্ছ কোনও ধারণাই ছিল না সিওএর। দেশের হয়ে ৪৬টি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলা উইকেটকিপার বলেন, “অনেক বছর পর সভাপতি হিসেবে একজন ক্রিকেটারকে পেয়েছে বোর্ড। আমার মতে, সিওএ শুধুমাত্র সময় নষ্ট করেছে। কোথাও পড়েছিলাম যে ওরা প্রত্যেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা করে পকেটে ভরেছে। এটা রীতিমতো অপরাধ। আমার মনে হয়, বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্যও ওরা হাজার হাজার টাকা নিত। রীতিমতো মধুচন্দ্রিমা কাটিয়েছে। কিন্তু এবার হানিমুন শেষ।”
[আরও পড়ুন: হংকংকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওমান, কোয়ালিফাই করলেন স্কটরাও]
তাঁর বিশ্বাস, এবার সঠিক ব্যক্তির হাতে বোর্ডের ব্যাটন উঠেছে। মহারাজের প্রশংসা করে সঙ্গে জুড়ে দেন, “ও (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) দারুণ ক্রিকেটার ছিল। অধিনায়ক হিসেবে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবেও ও একইভাবে কাজ করবে।”
তবে শুধু সিওএ কর্তাদেরই নয়, এমএসকে প্রসাদের নির্বাচন কমিটির বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন ফারুক ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর দাবি, চলতি বছর বিশ্বকাপ চলাকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলির বেটারহাফ অনুষ্কা শর্মার চায়ের কাপও বয়ে দিয়েছেন নির্বাচকরা। ক্ষোভ উগরে দিয়ে ফারুক বলেন, “মিকি মাউস নির্বাচক কমিটি পেয়েছি আমরা। যাদের উপর বিরাট কোহলির বড় প্রভাব রয়েছে। সেটা অবশ্য ভাল। কিন্তু নির্বাচকরা যোগ্যতা অর্জন করল কীভাবে? ওদের মধ্যে কতজন দশ-বারোটা টেস্ট খেলেছে? আমি তো বিশ্বকাপের একজন নির্বাচককে চিনতামও না।” যদিও প্রাক্তন তারকার এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর নির্বাচকদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।